বার্তা ডেস্কঃ দুই বছর এক মাসেরও বেশি সময় পর অবশেষে মুক্তি পেলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ বুধবার বিকাল ৪টার পর কারা হেফাজতে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুক্তি পান তিনি। বয়স ও মানবিক বিবেচনায় নিয়ে খালেদা জিয়াকে শর্ত সাপেক্ষে ৬ মাসের জন্য মুক্তি দেয় সরকার। তার সঙ্গে মুক্তি পান গৃহকর্মী ফাতেমাও।
এসময় কেবিন ব্লকের সামনে নেতাকর্মীদের ব্যাপক ভিড় জমায়। ভিড় কমাতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন।
এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ পরিবারের সদস্যরা।মুক্তি পেয়ে সরাসরি খালেদা জিয়া চলে যান গুলশানে তার ফিরোজা বাসভবনে। এর আগে প্রস্তুত করা হয় গুলশানের বাসভবনটি।
বিএনপি চেয়ারপারসন ‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট’ দুর্নীতি মামলায় সাজা পেয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে রয়েছেন। এ মামলায় প্রথমে তার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হলেও পরে উচ্চ আদালত তার শাস্তি বাড়িয়ে ১০ বছর করে।
অন্যদিকে ‘জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’ দুর্নীতি মামলাতেও তার সাত বছরের কারাদণ্ড হয়।
গত বছর ১ এপ্রিল পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেলে রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মোট মামলার সংখ্যা ৩৬টি রয়েছে। পরে সরকার গত মঙ্গলবার শর্ত সাপেক্ষে ছয় মাসের সাজা মওকুফ করে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন অনলাইন।