নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তম আওয়ামী লীগের বলয়ে ফিরছেন; এমন খবর গণমাধ্যমে প্রকাশের পর মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। সখীপুর বার্তার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ, সখীপুর এবং বাসাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন শীর্ষ নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। জানতে চাইলে টাঙ্গাইল-৮ আসনের বর্তমান এমপি অনুপম শাহজাহান জয়, সখীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মনোনয়ন প্রত্যাশী শওকত শিকদার একই ধরণের মন্তব্য করেছেন। তাঁরা বলেন, দলের বৃহত্তর স্বার্থে দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্বান্ত নেন ওই সিদ্বান্তের প্রতি তাদের অকুণ্ঠ সমর্থন রয়েছে। অন্যদিকে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মনোনয়ন প্রত্যাশী এডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম ভিপি জোয়াহের বলেন, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী জনবিচ্ছিন্ন ও অস্তিত্বহীন নেতায় পরিণত হয়েছেন। টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগসহ সখীপুর-বাসাইল উপজেলা আওয়ামী লীগ আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে সাংগঠনিকভাবে গতিশীল। তিনি বারবার বলে আসেেছন আওয়ামী লীগ তাকে বাদ দেয়নি; আওয়ামী লীগকেই তিনি বাদ দিয়েছেন। এমন দাম্ভিকতার কথা উল্লেখ করে জোয়াহেরুল ইসলাম বলেন, তার কোনো জনপ্রিয়তা নেই। বিগত নির্বাচনগুলো দেখে আসছি তাঁর এবং তাঁর দলের কত পার্সেন্ট ভোট রয়েছে। কাজেই আওয়ামী লীগ এত অসহায় হয়ে পড়েনি যে কাদের সিদ্দিকী এসে অসহায়ত্ব ঘুচাবে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে যে ভাষায় কথা বলতে হয় ন্যূনতম সম্মানবোধ রেখেও তিনি তা বলেন না। তিনি কী শুধুই প্রধানমন্ত্রী? তিনি হলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কাদের সিদ্দিকীকে আওয়ামী লীগ জোটে নেবে না। এছাড়াও তিনি বলেন, টাঙ্গাইল-৮ আসনে সঠিকভাবে মনোনয়ন দিলে তিনি মনোনয়ন পাবেন এবং বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হবেন বলেও দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপকমিটির সহ-সম্পাদক ও মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রকৌশলী আতাউল মাহমুদ বলেন, কাদের সিদ্দিকী যখন আওয়ামী লীগে ছিলেন তাঁকে ঘিরেই সখীপুর-বাসাইলবাসী উন্নয়নের চিন্তা করেছিল। ১৯৯১ সালে দলের ম্যান্ডেট নিয়ে নির্বাচন করেও স্বাধীনতা বিরোধীর কাছে হেরে যান। ১৯৯৬ সালে নির্বাচন করে বিজয়ী হলেও নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের কারণে তিনি সংসদ ও দল থেকে পদত্যাগ করেন। এতে সখীপুর-বাসাইলবাসীর উন্নয়নের চিন্তা তাঁর ছিলনা। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে যে ভাষায় তিনি কথা বলে বিতর্কিত করার চেষ্টা করেছেন। আবারও যে তিনি সে ভাষায় কথা বলবেন না তার কোনো গ্যারান্টি নেই। তাঁর ভুল নেতৃত্বে সখীপুর-বাসাইলের অগণিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে বিভ্রান্তিতে ফেলে দিয়েছেন। তাঁর আগের সেই জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা এখন আর নেই। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দল থেকে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসে নাই। সিদ্ধান্তের পর অবশ্যই দলীয়ভাবে তাঁকে জোটে না নেওয়ার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে অবহিত করা হবে। তিনি বলেন কাদের সিদ্দিকী আওয়ামী লীগের জন্য অপরিহার্য নন। আর সখীপুর-বাসাইল উপজেলা এমনিতেই হচ্ছে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি।
তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগের বড় একটি অংশ কাদের সিদ্দিকীর আওয়ামী জোটে ফেরার বিষয়টিকে কইতিবাচক ভাবেই দেখছেন। রয়েছে ভিন্ন মতও।