- নিজস্ব প্রতিবেদক: মাত্র ১১ বছর বয়সের হাস্যোজ্জল এক বালকের নাম শাহীন আলম। সখীপুর উপজেলার কচুয়া বাজারে এক বছর ধরে বাবা মিনহাজ উদ্দিনের চায়ের দোকানের কাজকর্মে সহযোগিতা করে। ষষ্ঠ শ্রেনিতে ওঠার পর আর স্কুলে যাওয়া হয়নি তার। সংসারে অভাব-অনটন থাকায় লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু শনিবার থেকে আবার স্কুলে যাবে শাহীন। হাতে পাবে খাতা কলম ও নতুন বই। গায়ে উঠবে নতুন পোশাক।
বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া এক শিশু শ্রমিকের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়েছেন টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়মী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত শিকদার। বৃহস্পতিবার কালিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে এলাকাবাসীর সঙ্গে গণসংযোগ করে সন্ধ্যায় কচুয়া বাজারে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় করছিলেন তিনি। এ সময় শিশু শ্রমিক শাহীন সকলের হাতে চা দিচ্ছিলেন। এক পর্যায়ে শাহীন চেয়ারম্যানের নজরে এলে তিনি শাহীন ও তার বাবাকে ডেকে এনে তার বিদ্যালয়ে না যাওয়ার কারণ জানতে চান। এ সময় শাহীন তার পরিবারের অভাব-অনটনের কথা জানায় এবং লেখাপড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে। চেয়ারম্যান তাৎক্ষণিকভাবে তার লেখাপড়ার দায়িত্ব নেন। এ সময় ওই শিশুকে বিদ্যালয়ে ভর্তি করাসহ তার খাতা-কলম ও পোষাকের জন্য নগদ অর্থও দেন শওকত শিকদার। এ বিষয়ে শওকত শিকদার বলেন, শিশুশ্রম নিরসনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শিশুদের জন্য সব কাজই ঝুঁকিপূর্ণ। এ বিষয়ে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে হবে।’