ইসমাইল হোসেন: ‘নুন আনতে পান্তা ফুরায়’- প্রবাদটিও হার মানে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কাঁকড়াজান ইউনিয়নের বুড়িরচালা গ্রামে এক প্রতিবন্ধী পরিবারের কাছে। জানা যায়, ওই পরিবারের সাতজনের মধ্যে পাঁচজনই প্রতিবন্ধী। এরা হলেন জন্ম থেকেই দুু’টি চোখই অন্ধ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী আবদুল গণি (৫৯) মিয়া তার স্ত্রী হাউসি বেগম (৪৮) শারীরিক প্রতিবন্ধী। তাদের দুই ছেলের মধ্যেই ছোট ছেলে লিটন (১৮) দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। বড় ছেলে আবুল হাশেম ও তার স্ত্রী মর্জিনা আক্তার সুস্থ থাকলেও তাদের দুই মেয়ে হাসিনা আক্তার (৯) বাক, এবং ছোট মেয়ে হাসি (৭) বাক, দৃষ্টি, বুদ্ধি ও শারীরিক প্রতিবন্ধী। সরেজমিন আবদুল গণির বাড়ি গিয়ে দেখা গেছে, তাদের বিশাল এই সংসারে আয়-রোজগারের কেউ নেই বললেই চলে। অর্ধাহার-অনাহারে পুরো সংসারটাই চলে অভাব অনটনে। ‘নুন আনতে পান্তা ফুরায়’- প্রবাদটিও এক্ষেত্রে হার মানে। মাঝেমধ্যে ওই পরিবারে পান্তাও জুটে না। আবুল হাশেম ঋণগ্রস্ত। উপার্জনের একমাত্র ব্যক্তি এক চোখ অন্ধ লিটন। দিনমজুরের কাজ পেলে যা কিছু জোটে তা দিয়েই চলে সংসার। হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে পড়লে বা কাজ না পেলে সেদিন বাড়িতে চুলা জ্বলে না। প্রতিবন্ধী আবদুল গণি বলেন, সুষ্টিকর্তা আমাদের কপাল মন্দ করে দুনিয়ায় পাঠাইছে। সন্তান ও নাতি-নাতনিরাও একই কপালে জন্মাইছে। এ দুঃখ দেখার কেউ নেই। মর্জিনা আক্তার জানান, অভাবের সংসার। দুইটি মেয়েই প্রতিবন্ধী। ভাতা কার্ড বা সরকারের দেওয়া ১০ টাকা কেজি চালের তালিকায়ও নাম নেই।
উপজেলা প্রতিবন্ধী উন্নয়ন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুমন সরকার বলেন, সুবিধাবঞ্চিত অস্বচ্ছল পরিবারটিকে সরকারি অনুদান, ভাতা কার্ড ও ধনাঢ্য ব্যক্তিদের আর্থিক সহযোগিতায় প্রয়োজন।