নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সততা ও স্বচ্ছতা , আদর্শে মহীয়ান সাফল্য অর্জনে দৃঢ়চেতা , নিভৃতচারী, সৎ মানুষের প্রতিকৃতি হচ্ছেন এম এ রাজ্জাক বি এস সি। ১৯৫১ সালের ১৫ এপ্রিল সখীপুর উপজেলার বোয়ালী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এই বরেণ্য শিক্ষক। বাল্যশিক্ষা শেষ করেছন বোয়ালী সরকারী প্রাইমারী স্কুলে থেকে। পারিবারিক অসচ্ছলতার কারনে মামার বাড়িতে থেকে জামুর্কী নবাব স্যার আব্দুল গনি উচ্চবিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে ম্যাট্রিক পাশ করেন এবং উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি হন সরকারী সাদত কলেজে। সেখান থেকেই গনিতে বি এস সি পাশ করেন। শিক্ষাজীবন শেষ করেই শিক্ষকতায় যোগদান করেন নলুয়া বাছেদ খান উচ্চবিদ্যালয়।সেখানে চাকরীচ্যুত হয়ে কিছুটা ভেঙ্গে পরলেও নিজের লালিত স্বপ্নকে বাস্তবে রুপান্তর করতে নিজ গ্রামেই ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত করেন বোয়ালী বি এল চাষী উচ্চ বিদ্যালয়। স্কুলকে কাঙ্খিত লক্ষে নিতে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব তুলে নেন। ঠিক চার বছরের শেষে এসেই প্রতিষ্ঠত করেন বেগম খালেদাজিয়া মহাবিদ্যালয় এবং নাম পরিবর্তন করে করা হয় বোয়ালী কলেজ।স্থানীয় হাঠ বাজার, মসজিদ,মাদ্রাসা, পোস্ট অফিস রাস্তাঘাট, সমবায় সমিতি, খেলার মাঠ ইত্যাদি নির্মানে রয়েছে তার সহযোগীতা ও অবদান। দায়িত্ব পালন করেছেন দেশের শিক্ষকদের সর্বোচ্চ সংঘঠন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি এর সাংঘঠনিক সম্পাদক ও টাঙ্গাইল জেলা শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক হিসেবে।১৯৬৪ সালে অাইয়ুব বিরোধী অান্দোলন,১৯৬৯ এর গন অভ্যুন্থানে ছিলো তার সক্রিয় উপস্থিতি। ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে কাদেরিয়া বাহিনীর হয়ে লড়েছেন দেশ রক্ষায় (যদিও সনদ মিলেনি)। আদর্শ জীবনে সংগ্রামী চরিত্র আজও তার পদক্ষেপকে উজ্জীবিত করেছেন। বিভিন্ন প্রতিকোলের মধ্য দিয়ে এই হৃদয়বান মানুষটি দেশ মাতৃকায় মঙ্গল প্রচেষ্টায় অবর্ণনীয় দুংখ কষ্ট ভুগ করেছেন এবং সফলও হয়েছেন।