অনলাইন ডেস্কঃ টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসনের সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মির্জাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মীর এনায়েত হোসেন মন্টুর ছেলে টাঙ্গাইল জেলা যুবলীগের সহসম্পাদক মীর মঈন হোসেন রাজীবের নেতৃত্বে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জামিলুর রহমান মিরন ও জেলা ছাত্রলীগ নেতা হিমেল আহত হন। এ ছাড়া হামলাকারীরা টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম এমপির দিকে তেড়ে যান। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার মির্জাপুর সরকারি কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম এমপিসহ নেতৃবৃন্দ উপজেলা পরিষদ মিলানায়তনে দুপুরের খাবার খান। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম এমপি মীর শরীফ মাহমুদকে সভাপতি ও তাহরীম হোসেন সীমান্তকে সাধারণ সম্পাদক করে মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করেন। কমিটি ঘোষণার পর খান আহমেদ শুভ এমপি মির্জা আজম এমপিকে বিদায় দেন। এ সময় যুবলীগ নেতা মীর মঈন হোসেন রাজীবের নেতৃতে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ইসতিয়াক মাহমুদ সান খান আহমেদ শুভ এমপির ওপর হামলা চালান। এতে এমপিসহ টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জামিলুর রহমান মিরন ও জেলা ছাত্রলীগ নেতা হিমেল আহত হন। রাজীবের নেতৃত্বে এই হামলায় মীর অভি, নাজিম, আজিজুল, একাব্বর হোসেন, শামীমসহ বেশ কয়েকজন অংশ নেন বলে জানা গেছে।
এর আগে ২০১৯ সালে মির্জাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের দিন মীর মঈন হোসেন রাজীবের নেতৃত্বে প্রয়াত সাংসদ একাব্বর হোসেনের বাসভবনে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা যুবলীগের সহসম্পাদক মীর মঈন হোসেন রাজীবের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ব্যস্ত আছেন বলে লাইন কেটে দেন। যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ বলেন, সুন্দরভাবে সম্মেলন শেষ হয়েছে। সভাপতি ও সম্পাদককে উপস্থিত সকলেই গ্রহণ করেছেন। সকলের উপস্থিতিতেই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার বলে তিনি জানান। টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসনের সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ বলেন, ‘সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে মির্জা আজম এমপিকে বিদায় জানানো হয়। এ সময় পেছন দিক থেকে রাজিব ও সানের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। এ সময় আমিসহ টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র জামিলুর রহমান মিরন ও জেলা ছাত্রলীগ নেতা হিমেলসহ বেশ কয়েকজন পড়ে গিয়ে আহত হই। মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলম চাঁদ বলেন, ‘হামলার ঘটনাটি শুনেছি। তবে এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ আসেনি।’