সখীপুর প্রতিনিধি: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেছেন, কাদের সিদ্দিকী সাহেব তাঁর লেখনিতে, কথাবার্তায় এমন নতজানু হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে কথা বলেন যে, প্রধানমন্ত্রী ডাকলে ওনি উড়ে যাবেন নাকি গাড়িতে যাবেন কিভাবে যাবেন দিশকূল পাননা। তারপরও আওয়ামী লীগে তিনি জায়গা পাচ্ছেন না। আদৌ জায়গা পাবেন কিনা জানিনা। তাঁকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে জোটে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে পৌর শহরের সৌখিন মোড়ে অবস্থিত সখীপুর উপজেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পূণ:প্রতিষ্ঠাতা বলায় আওয়ামী লীগ যেখানে সংলাপ বর্জন করে নাই। কাদের সিদ্দিকী সেখানে আড়াই ঘন্টা সংলাপের পর জিয়াউর রহমানকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পূণ:প্রতিষ্ঠাতা বলায় সংলাপ বর্জন করলেন। বিএনপির আদর্শের সঙ্গে যার এতো ফারাক তাকে বিএনপির সঙ্গে নেয়ার ন্যূনতম বা শূণ্য পারসেন্ট সম্ভবনা নেই।
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবেনা। এটা আমাদের দলীয় সিদ্ধান্ত। যদি আগামি নির্বাচন অবাধ এবং নিরপেক্ষ হয়, নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয় এবং নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হয় তাহলে আমরা নিশ্চিত নির্বাচনে অংশ নেব। কারণ বিএনপি সব সময়ই নির্বাচনমুখি দল। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে ইতিহাসের কলঙ্ক উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, আগামি নির্বাচনে আমাদের ছাড়া কোনো নির্বাচন হবেনা। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ও পরে কয়েকটি স্থানীয় নির্বাচনে প্রমাণ করেছে- দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।
সখীপুরের রাজনীতিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, সখীপুরে যেসব নেতাকে বিভিন্ন অভিযোগে বহিস্কার করা হয়েছে তারা এখন আর উপজেলা বিএনপির কেউ নন। তারা উপজেলা বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্যে উঠেপড়ে লেগেছেন। আপনারা (সাংবাদিকরা) এ বিষয়ে সজাগ থেকে সংবাদ পরিবেশন করবেন। বহিস্কৃত ওইসব লোকেরা সম্ভবত অন্যকোনো রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় কাজ করছে। অন্য রাজনৈতিক দলের এজন্ট হয়ে হীন উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
মতবিনিময় সভায় সখীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাকিল আনোয়ার, সম্পাদক এনামুল হক, সিনিয়র সাংবাদিক ইকবাল গফুর, মামুন হয়দার, ফজলুল হক বাপপাসহ প্রেসক্লাবের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এসময় উপজলা বিএনপির প্রস্তাবিত কমিটির সভাপতি শাহজাহান সাজু, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, আবদুল হক আল আজাদ, নাজিম উদ্দিন মাস্টার প্রমুখ বক্তব্য দেন।
