28 C
Dhaka
Sunday, October 6, 2024

ভারতে মহানবীকে নিয়ে কটূক্তিকারী পুরোহিত আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইসলাম ও মহানবী হযরত মোহাম্মদ...

সখীপুরে শিক্ষক দিবসে শিক্ষক লাঞ্ছিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের সখীপুরে মাদ্রাসা ছাত্রীকে বেত্রাঘাত...

শেখ মুজিবের ছবি টাকায় থাকবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০, ১০০, ৫০০ ও ১...

খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে রতনপুর কাশেম বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

জাতীয়খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে রতনপুর কাশেম বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
  • সাইফুল ইসলাম সানি: উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়নের রতনপুর কাশেম বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ৩৩ বছর। কিন্তু ভবন ও শিক্ষক সংকটে বিদ্যালয়টির পাঠদান কার্যক্রম এখনও চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। ১৯৯৯-২০০০ অর্থবছরের নির্মিত একমাত্র ভবনের ছোট ছোট শ্রেণিকক্ষে মাত্র তিনজন শিক্ষক দিয়ে চলছে পাঠদান কার্যক্রম। সরেজমিনে গিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের একমাত্র পাকা ভবনে ছোট ছোট চারটি কক্ষ রয়েছে। তার মধ্যে একটি অফিস কক্ষ ও লাইব্রেরী কাম স্টোর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। অন্য তিনটি কক্ষে চলে প্রাক প্রাথমিক থেকে   পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান। অপরদিকে বিদ্যালয়টিতে রয়েছে প্রায় আড়াই’শ ছাত্র-ছাত্রী। তাদের জন্য নেই পর্যাপ্ত শ্রেণিক্ষ ও বসার বেঞ্চ। একটি বিদ্যালয়ে আটজন শিক্ষক দরকার হলেও এখানে প্রধান শিক্ষকসহ শিক্ষক রয়েছেন মাত্র তিনজন। বিদ্যালয় ভবনের ঠিক সামনেই রয়েছে একটি বটগাছ, তারপর সুবিশাল খেলার মাঠ। খেলার মাঠ আর বটগাছটি বিদ্যালয়টির সৌন্দর্য্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সুন্দর পরিবেশের মত বিদ্যালয়টির সমাপনী ও অন্যান্য পরিক্ষার ফলাফলও বেশ ভাল। কিš’ আটজনের ন্থলে মাত্র তিনজন শিক্ষক দিয়ে কি সেই ভাল ধরে রাখা সম্ভব?
    এমন প্রশ্ন ছুড়ে দিলে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হাসিনা মমতাজ বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষক সংকটের কারণে দুই শিফটে কাস চালাতে হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা  গাদাগাদি করে বসে ক্লাস করে। বাড়তি ক্লাস নিতে গিয়ে শিক্ষকরা ক্লান্ত হয়ে পড়েন। এ কারণে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করলেও আশাতীত ফলাফল পাওয়া যায় না।’
    দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী রাফী জানায়, ‘আমরা একটি বেঞ্চে পাঁচজন-ছয়জন করে বসে ক্লাস করি। এতে কষ্ট হয়।’ এ সময় অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, প্রতিটি শ্রেণিতেই রয়েছে একই রকম সমস্যা। শ্রেণি সংকট শিক্ষক সংকট।
    প্রধান শিক্ষক আতিকুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘উপজেলা শিক্ষা অফিসে শিক্ষক সংকটের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু শহর থেকে একটু দূরে হওয়ায় এখানে শিক্ষকরা বেশিদিন থাকেন না। তদবীর করে বদলী হয়ে অন্য স্কুলে চলে যান।’ তিনি আরও বলেন, আমি কোন দাপ্তরিক কাজে উপজেলা সদরে গেলে মাত্র দুইজন শিক্ষক এতোগুলো বাচ্চাকে সামলাতে হিমশিম খায়। এজন্যে নতুন শিক্ষক খুবই জরুরী হয়ে পড়েছে।
    এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আমিনুল হক বলেন, ওই বিদ্যালয়সহ উপজেলার আরও বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট রয়েছে। ইতোমধ্যেই শূণ্য পদের বিপরীতে শিক্ষকের একটি চাহিদা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অন্য সমস্যাগুলোও পর্যায়ক্রমে সমাধান করা হবে।

Check out our other content

Check out other tags:

Most Popular Articles