- সাইফুল ইসলাম সানি: দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সখীপুর উপজেলার দাড়িয়াপুর ও গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর প্রার্থী ও ভোটারদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। এরই মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো চেয়ারম্যান পদে তাদের প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। দু’টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিএনপি ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ছয়জন প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন দিয়েছে। দাড়িয়াপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনছার আলী আসিফ, কৃষক শ্রমিক জনতালীগের মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি সানোয়ার হোসেন এবং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির সদস্য কবির হাসানকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বলে দলের শীর্ষ নেতারা নিশ্চিত করেছেন। অন্যদিকে গজারিয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে টাঙ্গাইল জেলা শ্রমিক লীগের সদস্য আবদুল মান্নান আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। জাতীয় পার্টির বর্তমান চেয়ারম্যান নূরুজ্জামান তালুকদার এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। কৃষক শ্রমিক জনতালীগের ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি বাদল মিয়া এবং বিএনপি থেকে গজারিয়া ইউনিয়ন কমিটির সদস্য গোলাম মোস্তফাকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। দু’টি ইউনিয়নেই আ.লীগের একাধিক শক্তিশালী প্রার্থী মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু মনোনয়ন বঞ্চিত কোন প্রার্থী দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর প্রার্থীরা নিজ নিজ কর্মী সমর্থকদের নিয়ে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কিছু কিছু প্রার্থীকে মোটরসাইকেল নিয়ে শোডাউন দিতেও দেখা গেছে। দু’টি ইউনিয়নেই সরেজমিন ঘুরে একাধিক সাধারণ ভোটারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শীর্ষ দলের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রচারণায় ভাটা পড়েছে। তাঁরা মনোনয়ন পাওয়ার আগে ভোটারদের সঙ্গে যেভাবে কোশল বিনিময় ও আপ্যায়ন করতেন মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার পর সেই চরিত্র অনেকটাই পাল্টে গেছে। ভোটের মাঠ জমিয়ে রেখেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদ প্রার্থীরা। তারা দিন-রাত নিজ নিজ এলাকায় প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদ প্রার্থীরা না থাকলে দু’টি ইউনিয়নেই নির্বাচন হচ্ছে বলে মনেই হতো না বলে মন্তব্য করেন একাধিক ভোটার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভোটার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শীর্ষ দলের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মনোভাব যেনো এমন- ভোটের আগেই তাঁরা নির্বাচিত হয়ে গেছেন। চেয়ারম্যান প্রার্থীদের এমন মনোভাব দূর করতে হবে। ভোটের মাঠের উৎসব মুখরতা ফিরিয়ে আনতে হবে। নির্বাচন বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হলে কোন প্রার্থীর জন্যেই অতি সহজে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া সহজ হবে না। নির্বাচনটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে।