নিজস্ব প্রতিবেদক: সখীপুরে নিজ বাড়িতে চারদিন অবস্থান করে ঢাকায় ফিরে গেছেন করোনা আক্রান্ত এক স্বাস্থ্যকর্মী। করোনা আক্রান্তের খবর পেয়ে ওই স্বাস্থ্যকর্মী রোববার কাউকে কিছু না জানিয়ে স্থানীয় এক সিএনজি অটো রিকশাযোগে সখীপুর ত্যাগ করেন। তিনি ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজেজেস অ্যান্ড ইউরোলোজি হাসপাতালের ওয়ার্ডবয় (এমএলএসএস) ও দাড়িয়াপুর ফাইল্যা পাগলার মাজার এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি কুর্মিটুলা হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শে ঢাকার বাসায় আইসোলেশনে রয়েছেন।
এতে তার গ্রামের বাড়ি দাড়িয়াপুরসহ উপজেলাজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন ওই গ্রামের ১০ বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করেছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজেজেস অ্যান্ড ইউরোলোজি হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক নূরুল হুদা লেলিনের বরাত দিয়ে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহীনুর আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজেসেস অ্যান্ড ইউরোলোজি হাসপাতালের কর্মকর্তা আইয়ুব হোসেন জানান, কয়েকদিন আগে এ হাসপাতালের দুইজন কিডনি রোগীর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত বুধবার ওই দুই রোগীর সেবার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নমুনা সংগ্রহ করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হয়। গত শনিবার নমুনার ফলাফলে শুধু সখীপুরের ওই স্বাস্থ্যকর্মীর করোনা রিপোর্ট ‘পজেটিভ’ আসে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই স্বাস্থ্যকর্মীকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। জানা যায়, নমুনা দিয়েই ওই স্বাস্থ্যকর্মী গ্রামের বাড়ি সখীপুরে চলে গেছেন। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ফোন পেয়ে রোববার করোনা আক্রান্ত ওই স্বাস্থ্যকর্মী তাঁর কর্মস্থল ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজেজেস অ্যান্ড ইউরোলোজি হাসপাতালে চলে আসেন।
দাড়িয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসছার আলী আসিফ জানান, খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমাউল হুসনা লিজা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবদুস সোবহান ও ওসি আমিরসহ দাড়িয়াপুর গ্রামে এসে ওই স্বাস্থ্যকর্মী এবং যে সিএনজি অটো রিকশাযোগে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গোড়াই স্টেশনে নেমেছেন সেই অটো রিকশার চালকের বাড়িসহ আশপাশের ১০টি বাড়ি লক ডাউন করেছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহীনুর আলম বলেন, ওই রোগীর সংস্পর্শে আসা ১০জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার আইউডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। তাঁর অজ্ঞতার কারণে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার সকলকে কঠোরভাবে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হয়েছে
-এসবি/সাইফুল ইসলাম সানি