অনলাইন:পাকিস্তানের নবগঠিত পার্লামেন্ট রবিবার শেহবাজ শরিফকে (৭২) দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেছে। তিন সপ্তাহ আগে দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও জোট সরকার গঠনে বিলম্ব হয়।
শরিফ প্রয়োজনীয় ১৬৯ ভোটের জায়গায় ২০১ ভোট পেয়েছেন ঘোষণা করার পর এদিন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার আয়াজ সাদিক বলেন, ‘শেহবাজ শরিফকে ইসলামিক রিপাবলিক অব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।’
কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থিত প্রার্থী ওমর আইয়ুবকে পরাজিত করেছেন শেহবাজ শরিফ, যিনি ৯২ ভোট পেয়েছেন।ইমরান খান সমর্থিত সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিল (এসআইসি) পার্টির তীব্র প্রতিবাদের মধ্যেই ঘোষণাটি হয়েছে। শরিফ নির্বাচনী কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছেন বলে অভিযোগ করে আইন প্রণেতারা সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুক্তির আহ্বান জানান এবং স্লোগান দেন। ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ, গ্রেপ্তার ও সহিংসতার কারণে বিঘ্নিত হয়েছিল এবং অস্বাভাবিকভাবে বিলম্বিত ফলাফল ভোটে কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল।
শেহবাজ শরিফ তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই, যিনি তাঁদের পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) দলের নির্বাচনী প্রচারণার নেতৃত্ব দিয়েছেন।
ইমরান খান সমর্থিত প্রার্থীরা সর্বাধিক আসন লাভ করলেও পিএমএল-এন এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) একটি জোট সরকার গঠনে সম্মত হয়। ফলে নিজের ভাই সরে যাওয়ায় শেহবাজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন।
পূর্ববর্তী মেয়াদে শরিফের সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি সমালোচনামূলক চুক্তি নিয়ে আলোচনা করলেও প্রক্রিয়াটি চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছিল। এপ্রিলে শেষ হওয়া চুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা দেশটিতে পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে এবং মধ্যবিত্ত পরিবার ও দরিদ্রদের ওপর চাপ বাড়িয়েছে।
নতুন সরকারকে অবিলম্বে আইএমএফের সঙ্গে দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য পরবর্তী চুক্তির জন্য আলোচনা শুরু করতে হবে। তাদের দারিদ্র্যের গভীরতা নিয়ে ক্রমবর্ধমান অসন্তোষ মোকাবেলা করতে হবে। পাশাপাশি সরকারকে ইমরান খানের সমর্থকদের চলমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে।
সূত্র : রয়টার্স