26.1 C
Dhaka
Wednesday, July 30, 2025

বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হুমায়রার কবরে বিমানবাহিনীর শ্রদ্ধা

জাহিদ হাসান: রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল এন্ড...

সখীপুরে ডিঅমস্ এসোসিয়েশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের সখীপুরের ঐতিহ্যবাহী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন...

৮ মাস অনুপস্থিত থেকেও নিয়মিত বেতন তুলছেন শিক্ষক দম্পতি

জাহিদ হাসান: টাঙ্গাইলের সখীপুরে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক...

প্রেমের টানে নেপালী তরুণী সখীপুরে

সখীপুরপ্রেমের টানে নেপালী তরুণী সখীপুরে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ প্রেমের টানে নেপালী তরুণী সানজু কুমারী খাত্রী (২০) টাঙ্গাইলের সখীপুরে সংসার এসেছেন। প্রায় চার বছর ধরে মালয়শিয়া একটি  কোম্পানীতে কাজ করার সময় একে অপরের সঙ্গে চেনা-জানা হয়। ওই পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর প্রেমিক যুবকের সঙ্গে তিনি বাংলাদেশে চলে আসেন। ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেছেন।

ওই যুবক হলেন উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের হুমায়ুন মিয়ার ছেলে নাজমুল ইসলাম (২৫)।  পরে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। পনের দিন আগে নেপাল থেকে তারা একসঙ্গে বাংলাদেশে আসে। এ সংবাদ পেয়ে নবদম্পতিকে দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে আসছে অনেক মানুষ।

সরজমিনে ওই বাড়তে গিয়ে দেখা যায়, বাঙালি পোশাক পরে স্বাভাবিক কাজকর্ম করছেন ওই নেপালীয়ান তরুণী। হিন্দু থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে সানজু কুমারী থেকে তার নাম রাখা হয়েছে খাদিজা আক্তার।

তিনি বাঙালি আচার-আচারণ ও পোশাক-পরিচ্ছেদ পরিধান করলেও ভাষাগত কিছু সমস্যা রয়েছে। মেয়েটি বাংলা ভাষা বোঝে কিন্তু বলতে কিছুটা সমস্যা হয় বলে জানান নাজমুল। নেপালী আদালতেও তাদের বিয়ে সম্পন্ন  হয়েছে।

তারপর টাঙ্গাইল আদালতের মাধ্যমে কোর্ট মেরেজ করেন এবং স্থানীয় এক নিকাহ রেজিস্ট্রার দিয়ে বিবাহ সম্পন্ন করা হয়েছে। নেপালের কাঠমুন্ডু শহরেই মেয়েটির বাড়ি সেখান থেকে পারিবারিক সম্পর্ক ছিন্ন করে নাজমুলের হাত ধরে বাংলাদেশে আসে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নে খাদিজা আক্তারের নেপালী ভাষার অনুবাদ করে নাজমুল বলেন- বাংলাদেশর সংস্কৃতি ও গ্রাম্য পরিবেশ আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। নাজমুলকে অনেক ভালোবাসি। আমি আর নেপালে ফিরে যাবো না।

নাজমুল ইসলাম বলেন- একটি হিন্দু মেয়ে আমাকে ভালোবেসে মুসলমান হয়ে আমাকে বিয়ে করেছে এবং দেশত্যাগ করে বাংলাদেশে এসেছে। আমি ওর প্রতি কৃতজ্ঞ। সবার কাছে আমাদের জন্য দোয়া চাই।

নাজমুলের বাবা হুমায়ুন মিয়া বলেন- ছেলের বউ দেখে আমরা খুব খুশি হয়েছি। ওদের আনন্দেই আমরা আনন্দিত।

Check out our other content

Check out other tags:

Most Popular Articles