নিজস্ব প্রতিবেদক: সখীপুর ও বাসাইল উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বংশাই নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুইটি ড্রেজার জব্দ ও ৮টি ড্রেজারের পাইপ ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। দুইদিন ব্যাপী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে বংশাই নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছিলেন এক শ্রেণির বালু ব্যবসায়ী।
সংশ্লিষ্টরা জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুন নাহার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। গত ২৩ সেপ্টেম্বর ও ২৪ সেপ্টেম্বর এ দুইদিনে উপজেলার বার্থা ও বালিনা এলাকার দুইটি ড্রেজার জব্দ করেন। এছাড়াও উপজেলার মিরিকপুরে ৩টি, মলিয়ানপুর, কাজিরাপাড়া, বাথুলীসাদী, নাইকানীবাড়ি ও বালিনা এলাকার ৮টি ড্রেজারের পাইপ ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়। এসময় সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তারা সহযোগিতা করেন। ড্রেজার বিরোধী অভিযানে ভুক্তভোগী ক্ষতিগ্রস্তরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন এবং বাসাইল উপজেলা প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে সখীপুর ও বাসাইল উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বংশাই নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছিলেন এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরর। এতে নদীটির দুই পাশে ভাঙ্গন শুরু হয়। ফলে আশপাশের বসতবাড়ি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতির সম্মুখিনে পড়ে। এ নিয়ে দুটি উপজেলার ক্ষতিগ্রস্তরা প্রশাসন ও সংবাদকর্মীদের বারবার অবগত করেন।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলা প্রশাসন মাঝে মধ্যে ড্রেজারের পাইপ ও মেশিন পুড়িয়ে দিলেও বালু খেকোরা পুনরায় চালু করে বালু উত্তোলন করে। প্রশাসন বন্ধ করলেও বালু খেকোরা পুনরায় চালুর বিষয়টি নিয়েও সচেতন মহলে আলোচনা রয়েছে।। তবে বালু খেকোদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন সচেতন মহল ও ভুক্তভোগীরা।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুন নাহার বলেন, ‘গত দুইদিনে অভিযান চালিয়ে দুইটি ড্রেজার জব্দ ও ৮টি ড্রেজারের পাইপ ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
এসবি/হায়দার/সানি