- নিজস্ব প্রতিবেদক: সখীপুর পৌরসভার করাতকলগুলো বেপরোয়াভাবে চেরাই করছে শাল গজারি, মেহগুনি, আকাশমনিসহ নানা ধরনের অবৈধ কাঠ। কাঠ চেরানোর নীতিমালা অনুযায়ী রেজিস্ট্রি খাতায় কোন হিসাবও লিখছেন না এসব করাতকল মালিকরা। ফলে দিনদিন সামাজিক বনায়নসহ শাল গজারির বন ধ্বংস হচ্ছে। সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, সখীপুর পৌরসভার মধ্যে ৪২টি করাতকল রয়েছে। অনেক করাত কলের প্রায় দুই বছর ধরে লাইসেন্সের মেয়াদ উর্ত্তীণ হয়েছে। কিন্তু এখনো লাইসেন্স নবায়ন করা হয়নি। নীতিমালা অনুযায়ী দিনে কত সেপ্টি কাঠ এবং কী কী কাঠ চেরানো হলো তার হিসাব রেজিস্ট্রি খাতায় উঠানোর কথা। কিন্তু কোনো করাতকল মালিক এ নীতিমালা মানছেন না। ফলে সরকার মোটা অঙ্কের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে আর লাভবান হচ্ছেন কিছু অসাধু কাঠ ব্যাবসায়ী ও করাতকল মালিক। পৌর এলাকার ৬নম্বর ওয়ার্ডের শাহ কামাল করাত কল মালিক মো. হায়দার আলী জানান, নিয়মতান্ত্রিক ভাবেই লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছি। [শেষ পৃষ্ঠার পর] হয়তো কিছুদিনের মধ্যেই কাগজপত্র হাতে পাবো। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকটি করাতকলের শ্রমিক এ প্রতিবেদককে বলেন, পৌরসভার কোন করাতকলেই কাঠ চেরাইয়ের রেজিস্টার মানা হয় না। হয়তো কিছু করাতকলে শালগজারি, সেগুণ ও বনের অবৈধ কাঠ চেরানো হয় তবে সব করাত কলেই চেরায় না।
এ বিষয়ে উপজেলার বহেড়াতৈল রেঞ্জ কর্মকর্তা আতাউল মজিদ বলেন, কিছু দিন আগেও অবৈধ করাত কল বন্ধ করে মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছি। আবার কিছু দিনের মধ্যেই পূণরায় অভিযান চালানো হবে।
বিভাগীয় বন সংরক্ষণ কর্মকর্তা (টাঙ্গাইল) মো. মাসুদ রানা বলেন, এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।