22 C
Dhaka
Sunday, March 23, 2025

আমরা দেশপ্রেমিক অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পেয়েছি: আযম খান

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস...

সংস্কার বাস্তবায়ন করতে নির্বাচন অত্যাবশ্যকীয়: আযম খান

সাইফুল ইসলাম সানি: বিএনপির (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল)...

৮ তারিখ আপনার জন্যে সৌভাগ্যপূর্ণ: ড. ইউনূসকে বললেন আযম খান

সাইফুল ইসলাম সানি: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ...

মালয়েশিয়া থেকে আসা সেই তরুণী ফিরে গেছেন

সখীপুরমালয়েশিয়া থেকে আসা সেই তরুণী ফিরে গেছেন

ডেস্ক নিউজ: প্রেমের টানে টাঙ্গাইলের সখীপুরে আসা মালয়েশীয় তরুণী জুলিজা বিনতে কামিস ১৭ দিন পর গত রবিবার নিজ দেশে ফিরে গেছেন। জুলিজার স্বামী আজগর আলী গতকাল সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ছয় মাস আগে ফেসবুকে টাঙ্গাইলের সখীপুরের তরুণ মনিরুলের সঙ্গে পরিচয়ের পর প্রেমের টানে মালয়েশীয় ওই তরুণী গত ২৪ আগস্ট বাংলাদেশে আসেন। পরের দিন ২৫ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে জুলিজাকে নিয়ে মনিরুল সখীপুরে নিজ বাসায় যান। ওই রাতেই মনিরুলের সঙ্গে তাঁর বিয়ের আয়োজন চলে। রাত ১১টার দিকে জুলিজার স্বামী পরিচয় দিয়ে আজগর আলী নামের এক ব্যক্তি ফোন করায় বিয়ে বন্ধ হয়ে যায়। জুলিজাকে মনিরুলের মামা নওশের আলীর বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এর কয়েক দিন পর হঠাৎ করে মনিরুল ওই জুলিজাকে নিয়ে আত্মগোপন করেন।

আজগর আলী দাবি করেন, ২০০০ সালের দিকে আজগর আলী জীবিকার সন্ধানে মালয়েশিয়া যান। ওখানে জুলিজার সঙ্গে তাঁর প্রেম হয়। ২০০৮ সালে জুলিজাকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশে ফিরে ঢাকায় নিজ বাসায় জুলিজার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের পর আজগর মালয়েশিয়াতে ফিরে গিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। তাঁদের দাম্পত্য জীবনে চার সন্তানের জন্ম হয়। চলতি বছরের আগস্টে ব্যবসার কাজে আজগর আলী কয়েক দিনের জন্য অন্যত্র বেড়াতে যান। এ সুযোগে ওই তরুণী বাংলাদেশে মনিরুলের কাছে চলে আসেন। প্রেমের টানে মালয়েশীয় ওই তরুণীর টাঙ্গাইলে আসার খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশের পর আজগর আলী বিষয়টি জানতে পারেন। এরপর আজগর আলী ওই খবরের সূত্র ধরে মনিরুলের মুঠোফোন নম্বর সংগ্রহ করে বিয়ে পড়ানোর আগে ফোন দেন।

মালয়েশিয়াপ্রবাসী আজগর আলী সোমবার দুপুরে অভিযোগ করেন, তাঁর স্ত্রী জুলিজা টাঙ্গাইলের মনিরুল নামের এক যুবকের খপ্পরে পড়ে চার লাখ টাকা ও চার ভরি স্বর্ণালংকার খুইয়েছেন। এ অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে কলেজছাত্র মনিরুলের মুঠোফোনে কয়েকবার ফোন দিলেও কেউ ধরেননি। মনিরুলের বাবা ইমান আলী বলেন, ‘জুলিজা সামান্য কিছু টাকা নিয়ে এসেছিল বলে শুনেছি। চার লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। শুনেছি, মেয়েটি  রবিবার  মালয়েশিয়া চলে গেছেন। ছেলের সঙ্গে আমার ফোনে যোগাযোগ আছে। সে এখনো বাড়িতে ফেরেনি।’

মনিরুলের মামা নওশের আলী বলেন, ‘আমার বাড়ি থেকে মেয়েটি মনিরুলের সঙ্গে আত্মগোপন করে। মনিরুলের সঙ্গে তাঁর কোনো যোগাযোগ হয়নি। মেয়েটি মালয়েশিয়া চলে গেছেন বলে আমিও শুনেছি।’

Check out our other content

Check out other tags:

Most Popular Articles