বার্তা ডেস্কঃ 

এবারের বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচেই ঘটেছিল অঘটন। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্সকে হারিয়ে দারুণভাবে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল মুশফিকুর রহীমের চিটাগং ভাইকিংস।

কিন্তু গতকাল টুর্নামেন্টে ফিরতি দেখায় অ্যালেক্স হেলস (১০০) ও রাইলি রুশোর (অপরাজিত ১০০) জোড়া সেঞ্চুরির ইতিহাসে নির্মম প্রতিশোধ নিল রংপুর। ৭২ রানের জয় তুলে নিল তারা। আগে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ২৩৯ রানের রেকর্ড ইনিংস গড়েছিল রংপুর।

কিন্তু ম্যাচ শেষে এটাকে ঠিক প্রতিশোধ বলতে রাজি নন রংপুর রাইডার্স অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। হেলস ও রুশোর প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘ক্রিকেটে তো আসলে প্রতিশোধ নেই।

ওরা ক্রিস গেইলকে দ্রুত আউট করার পর অবশ্যই একটা চাপ ছিল। কিন্তু রুশো হেলস যেভাবে ব্যাট করেছে তা সত্যি অবিশ্বাস্য। আর ওখানেই ম্যাচটা আমাদের পক্ষে এসেছে।’

মাশরাফী ও মুশফিকের কাছে ভিন্নভাবে যায় প্রশ্ন দুটি। নিজের দুই খেলোয়াড় যখন মাঠে এমন ব্যাট করে ইনিংস গড়েন তখন কেমন লাগে? প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানরা যখন ভয়ঙ্কর সুন্দর এমন ব্যাট করে, তখন সেটা কতটা অসহায় বানিয়ে দেয়?

মাশরাফী : ড্রেসিং রুমে খুব স্থির থাকা যায়। এক পর্যায়ে বোঝা যায় যে, আমরা জিততে পারি। এটা স্বস্তির। দেখতে ভালোও লাগে। বিশ্বমানের বোলারদের যেভাবে খেলে তারা তা দেখাও আনন্দের। এর চেয়ে বেশি কিছু তো আর আশা করা যায় না।

মুশফিক : অসহায় তো লাগেই। আমরা জানতাম শীর্ষে যাদের এমন চারজন ব্যাটসম্যান, তাদের বিপক্ষে খেলা কঠিন। কিন্তু এতটা আমরা আশা করিনি। আমাদের বোলাররা যদি পরিকল্পনা একটু কাজে লাগাতে পারত, তাহলে হয়তো অন্যকিছু হতো। ওদের ২০০ কিংবা ২১০ রানে আটকাতে পারলেও হতো। তারপর যদি (ক্যাচ) ড্রপ হয়…।

দীর্ঘশ্বাস পড়ে মুশফিকের। ৫ ম্যাচ পর তার দল হারল। ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকার স্বস্তি এখনো আছে হোম টিমটার। শেষ চার নিয়ে এখন মাশরাফীর বিশ্বাস, ‘আর দুটো ম্যাচ জিতলে হয়তো আমাদের হবে। একটা জিতলেও রান রেটে যেতে পারব হয়তো।’

২৩৯ বিপিএলের ইতিহাসের সেরা দলগত স্কোরের নতুন রেকর্ড। আর টি-টোয়েন্টিতে এইমাত্র তৃতীয়বারের মতো এক ইনিংসে দুই সেঞ্চুরির রেকর্ড হলো। কিন্তু কাকে এগিয়ে রাখবেন জয়ী অধিনায়ক? ‘দুটিই আসলে সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।’ দুজনকেই একশতে একশ দিয়ে মাশরাফী বললেন, ‘হেলস যেভাবে শুরু করেছে সেটা দরকার ছিল। আবার রুশো যেভাবে শেষ পর্যন্ত ধরে খেলেছে সেটাও প্রয়োজন ছিল।’ হেলস অবশ্য এই ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারটা জিতেছেন।

বিপিএল সবসময় হেলস ও রুশোর জোড়া সেঞ্চুরির কীর্তি মনে রাখবে। টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে প্রথমবার এক ইনিংসে দুই সেঞ্চুরির দেখা মেলে ২০১১ সালে। ইংল্যান্ডের লিগে কেভিন ও ব্রায়েন (১১৯) ও হামিশ মার্শাল (১০২) গ্লস্টারশায়ারের হয়ে মিডলসেক্সের বিপক্ষে করেছিলেন ওই কীর্তি। ২০১৬ সালে গুজরাট লায়ন্সের বিপক্ষে আইপিএলে বিরাট কোহলি (১০৯) ও এবি ডি ভিলিয়ার্স (১২৯) রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে লিখেছিলেন ওই জোড়া সেঞ্চুরির দ্বিতীয় গল্পটা। তৃতীয়টা হলো বাংলাদেশে।

খবর /দেশ-রুপান্তর