17 C
Dhaka
Thursday, January 23, 2025

সখীপুর আবাসিক মহিলা কলেজে ইংরেজি বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

জাহিদ হাসান: টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার একমাত্র নারী...

সখীপুরে ব্যবসায়ীর গলা কাটা লাশ উদ্ধার

জাহিদ হাসান: টাঙ্গাইলের সখীপুরে আব্দুস সালাম (৪৮)...

লাবীব গ্রুপে এসএসসি ও এইচএসসি পাশে নিয়োগ, সখীপুরবাসীর অগ্রাধিকার

নিজস্ব প্রতিবেদক: লাবীব গ্রুপের সিস্টার কনসার্ন Excel...

মুক্তির পর যা বললেন রফিকুল- ‘সব আমার কপালের দোষ’

সখীপুরমুক্তির পর যা বললেন রফিকুল- ‘সব আমার কপালের দোষ’

piccc

  • সাইফুল ইসলাম সানি: সখীপুরে বিনাদোষে সাতদিন কারাভোগের পর পুলিশের ভুলে গ্রেপ্তার হওয়া দিনমজুর রফিকুল অবশেষে  আজ রোববার মুক্তি পেয়েছেন। সকালে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সখীপুর আমলী আদালতে আবেদন করলে বিচারক রোকন কান্তি রফিকুলকে মুক্তির নির্দেশ দেন। পরে  বিকেলে টাঙ্গাইল কারাগার থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্তির পর এক প্রতিক্রিয়ায় রফিকুল বলেন, কপালে ছিল তাই নিরাপরাধ হয়েও শুধু নাম ঠিকানা মিল থাকায় জীবনে দুইবার জেল খাটলাম। তবে এ নিয়ে কারো প্রতি তার কোনো অভিযোগ নেই বলেও তিনি জানান। রফিকুল সখীপুর উপজেলার চতলবাইদ (ভূইয়াপাড়া) গ্রামের মৃত ঠান্ডু মিয়ার ছেলে।
    জানা যায়, ২০১৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ক্যারম খেলা নিয়ে উপজেলার চতলবাইদ গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে রফিকুল ইসলাম একই গ্রামের খায়রুলের ওপর হামলা করে। এ ঘটনায় খায়রুলের মামা সায়েজ উদ্দিন বাদী হয়ে রফিকুল ইসলামসহ দুইজনকে আসামি করে সখীপুর থানায় মামলা করেন। পরে ওই মামলায় রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। কিন্তু গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আগেই প্রকৃত আসামি রফিকুল ইসলাম বিদেশ চলে যান।
    ওই মামলায় ২০১৫ সালেরও ১৪ মে পুলিশ ভুল করে উপজেলার চতলবাইদ গ্রামের আব্দুর রশীদের ছেলে রফিকুল ইসলামের বদলে একই গ্রামের মো. ঠান্ডু মিয়ার ছেলে রফিকুলকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়। ওই সময় তিনদিন জেল খেটে মামলার বাদীর সহযোগিতায় মুক্তি মেলে নির্দোষ রফিকুলের। দুই বছর পর একইভাবে ভুল করে গত ১৪ মে রোববার সখীপুর থানার উপ-পরিদর্শক এমদাদুল হক প্রেপ্তারি পরোয়ানার প্রকৃত আসামি রফিকুল ইসলামের বদলে দিনমজুর রফিকুলকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠান। এবার বিনাদোষে সাতদিন কারাভোগের পর রোববার মুক্তি পান রফিকুল। রোববার সকালে রফিকুলের পক্ষে আইনজীবী সেলিম আল দীন মুক্তির আবেদন করলে আদালত তাকে মুক্তির নির্দেশ দেন। এ সময় আদালতে কোর্ট পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন ও টাঙ্গাইল মানবধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা রফিকুলের মুক্তির বিষয়ে সহযোগিতা করেন। মুক্তির পর রফিকুলকে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মাহবুব আলম পিপিএম -এর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ সুপার দিনমজুর রফিকুলের পরিবারের সহায়তার জন্যে ২০ হাজার টাকা দেন।
    পুলিশ সুপার মো. মাহবুব আলম পিপিএম বলেন, ‘নাম ঠিকানা মিল থাকায় পুলিশ রফিকুলকে গ্রেপ্তার করে। এটি পুলিশের অনিচ্ছাকৃত ভুল। রফিকুল নির্দোষ এ বিষয়টি অবগত হওয়ার পর আমি তার মুক্তির ব্যাপারে প্রযোজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করি। পরিবারের সহযোগিতার জন্যে রফিকুলকে ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।’উল্লেখ্য; মামলার বাদী উপজেলার গজারিয়া গ্রামের সায়েজ উদ্দিন জানান, গত ১৪ মে পুলিশ যে রফিকুলকে গ্রেপ্তার করে তাঁর বাবার নাম মৃত ঠান্ডু মিয়া বাড়ি চতলবাইদের ভূঁইয়াপাড়ায়, বয়স ৪৪ বছর। মামলার প্রকৃত আসামি রফিকুল হলেও বাবার নাম আবদুর রশিদ, বাড়ি চতলবাইদের ভাতকুড়া চালায়, বয়স ২৫ বছর। সায়েজ উদ্দিন আরও বলেন, ‘দোষী ব্যক্তি সাজা পেলে খুশি হতাম। নির্দোষ রফিকুলকে বাঁচাতে আমি এর আগেও সাক্ষী দিয়ে জেল থেকে ছাড়িয়ে এনেছিলাম।

Check out our other content

Check out other tags:

Most Popular Articles