সাইফুল ইসলাম সানিঃ সখীপুর উপজেলার পশ্চিমে দাড়িয়াপুর গ্রামের ফাইল্যা (ফালুচাঁন) পাগলার মাজারকে কেন্দ্র করে মাজার সংলগ্ন এলাকায় জমে উঠেছে ফাইলা পাগলার মেলা। ২০০৩ সালে আকস্মিক বোমা হামলার কারণে কয়েক বছর মেলাটির অচলাবস্থার পর অসংখ্য ভক্ত মানতকারী ও দর্শকদের আনাগোনায় পুনরায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে মেলাটি। ২০০৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে পরপর দুটি বোমা বিস্ফোরণে সাতজন নিহত ও আরো ১০ জন চোখ, হাত ও পা হারিয়ে গুরুতর আহত হয়েছিলো। এ ঘটনায় আহত মোহাম্মদ আলী ও পা হারানো রবিন আজো বেঁচে আছে সেই ভয়ঙ্কর রাতের সাক্ষী হয়ে।
চলতি আরবী মাসের শুরু থেকে মেলার কার্যক্রম শুরু হলেও আজ মঙ্গলবার থেকে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে। আগামী পূর্ণিমা রাতে সবচেয়ে বড় মেলা হলেও সারা মাসই থাকবে মানতকারী মানুষের আনাগোনা। প্রতিদিন দূর-দূরান্তের হাজার হাজার লোকজন মানত করা মোরগ, খাঁসি, গরু, মোমবাতিসহ নানা রকম পণ্য সামগ্রী নিয়ে লালমাটির পাহাড়ী এলাকা দাড়িয়াপুকে গড়ে তুলেছে এক মিলন কেন্দ্র হিসেবে। তবে আগত ভক্তদের অভিযোগ, আবাদি বাজার থেকে মেলায় যাওয়ার সড়কটির অবস্থা খুবই খারাপ। বৃষ্টির কারণে এর অবস্থা আরো বেহাল হয়ে পড়েছে। যে কারণে দুর-দুরান্ত থেকে আগত মানুষের বিড়ম্বনার শেষ নেই।
মেলা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন মাস্টার এ প্রতিবেদককে জানান, ‘এ বছর প্রশাসনের অনুমতিক্রমে ৭ দিনব্যাপী মেলা উদযাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন বলেন, ‘মেলার দিন ও রাতগুলোতে নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ বছরও মেলা সুষ্ঠভাবে উৎযাপিত হবে বলে আশা করছি।’
-এসবি/ইসমাইল