মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে পবিত্র মাহে রমজান মাস। প্রতি বছর রমজান শুরু হওয়ার আগে থেকেই নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। এনিয়ে মানুষের মনে বাড়তি উদে¦গ শুরু হয়। এবার যেন দ্রব্যমূল্য ন্যায্য পর্যায়ে থাকে, সেদিকে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি রাখা জরুরী। সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে বলা হচ্ছে, বাজারমূল্য স্বাভাবিক থাকবে। কিন্তু এই পরিস্থিতি বজায় থাকবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে, কারণ প্রতিবছরই দেখা যায়, নানাভাবে রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য বাড়ানো হয়। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম না হলে দ্রব্যমূল্য বাড়ার কোনো কারণ ঘটে না। কোনো কোনো দ্রব্যেও তাই কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হয় দাম বাড়ানোর পরিস্থিতি তৈরি করতে। এবছর দেখা যাচ্ছে, রমজান শুরু হওয়ার আগে থেকেই ভোজ্যতেল ও চিনি বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। যার পেছনে কোনো যুক্তি সংগত কারণ নেই। রমজান শুরু হওয়ার পর ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফার লোভে পড়বেন না এ কথা জোর দিয়ে বলা যায় না। অতিরিক্ত মুনাফার লোভে অনেক ব্যবসায়ী দ্রব্যপণ্য মজুত রেখে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে। এই অসৎকর্ম থেকে বিরত থাকার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আমরা আহবান জানাচ্ছি। এছাড়াও ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে সরকারি উদ্যোগে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তদারকি দলগুলোকে সব সময় কঠোর নজরদারি চালিয়ে যেতে হবে। এব্যাপারে ব্যবসায়ী সংগঠনের তদারকিও সহায়ক হবে।