15 C
Dhaka
Friday, December 13, 2024

টিকেট থাকার পরও, বিদেশ যাওয়া হলোনা ফজলুল হকের

জাহিদ হাসান: প্রায় পাঁচ বছর যাবৎ সৌদিতে...

সখীপুরে আওয়ামী লীগের ৩ নেতা গ্রেফতার

জাহিদ হাসান: টাঙ্গাইলের সখীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের...

সখীপুরে প্রবাসী দম্পতির ১০ হাজার বস্তায় আদা চাষ, ৮০ লাখ টাকা বিক্রির আসা

জাহিদ হাসান: টাঙ্গাইলের সখীপুরে নেদারল্যান্ড প্রবাসী মো....

রাসুল (সা.) চাঁদ দেখে রোজা রাখতে ও ভাঙতে বলেছেন (চাঁদ দেখার মাসআলা)

সখীপুররাসুল (সা.) চাঁদ দেখে রোজা রাখতে ও ভাঙতে বলেছেন (চাঁদ দেখার মাসআলা)

আমিন মুনশি : হাদিস শরীফের ভাষ্য, তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখবে এবং চাঁদ দেখে রোজা শেষ করবে। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, একজন গ্রাম্য সজ্জন ব্যক্তি রাসুলের (সা.) কাছে আরজ করলেন— আমি রমজানের চাঁদ দেখেছি। রাসুল (সা.) বললেন, তুমি কি সাক্ষ্য প্রদান কর যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই? লোকটি উত্তর দিলেন, হ্যাঁ। রাসুল (সা.) বললেন, তুমি কি সাক্ষ্য প্রদান কর যে, মোহাম্মদ আল্লাহর রাসুল? তিনি উত্তর দিলেন, হ্যাঁ। রাসুল (সা.) অতঃপর হজরত বেলালকে (রা.) লক্ষ্য করে বললেন, হে বেলাল! মানুষকে জানিয়ে দাও, তারা যেন আগামীকাল রোজা রাখে। (আবু দাউদ, হাদিস নং-২৩৪০)

মাহে রমজানের রোজা শুরু করার জন্যও রয়েছে শরিয়তের সুস্পষ্ট বিধান। হযরত কুরায়ব (রঃ) থেকে বর্ণিত, ‘উম্মুল ফযল বিনতে হারিস তাকে সিরিয়ায় হযরত মুআবিয়া (রাঃ) এর নিকট পাঠালেন। (কুরায়ব বলেন) আমি সিরিয়ায় পৌঁছলাম এবং তার প্রয়োজনীয় কাজটি সমাধা করে নিলাম। আমি সিরিয়া থাকা অবস্থাই রমজানের চাঁদ দেখা গেল। জুমআর দিন সন্ধ্যায় আমি চাঁদ দেখলাম। এরপর রমজানের শেষভাগে আমি মদীনায় ফিরলাম। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) আমার নিকট জিজ্ঞেস করলেন এবং চাঁদ সম্পর্কে আলোচনা করলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা কোন দিন চাঁদ দেখেছ? আমি বললাম, আমরা তো জুমআর দিন সন্ধ্যায় চাঁদ দেখেছি। তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন, তুমি নিজে দেখেছো কি? আমি বললাম হ্যাঁ আমি দেখেছি এবং লোকেরাও দেখেছে। তারা সিয়াম পালন করেছে এবং মুআবিয়া (রাঃ) সিয়াম পালন করেছেন।’

তিনি বললেন, ‘আমরা কিন্তু শনিবার সন্ধায় চাঁদ দেখেছি। আমরা সিয়াম পালন করতে থাকবো, শেষ পর্যন্ত ত্রিশ দিন পূর্ণ করবো অথবা চাঁদ দেখব। আমি বললাম, মুআবিয়া (রাঃ) এর চাঁদ দেখা এবং তার সওম পালন করা আপনার জন্য যথেষ্ট নয় কি?’ তিনি বললেন, ‘না, যথেষ্ট নয়। কেননা রাসুলুল্লাহ সা. আমাদেরকে এরূপ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।’ (সহিহ মুসলিম, ইফা ৩/২১ হাদীস নং ২৩৯৯)

আরেকটি হাদীসে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, ‘তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রেখো এবং চাঁদ দেখে রোজার মাসের সমাপ্তি কর। আর যদি মেঘের আড়ালের কারণে চাঁদ দেখা না যায়, শাবান মাসের ত্রিশ দিন পূর্ণ করো।’ (সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম) সহীহ মুসলিমের একটি রেওয়ায়াতে বলা হয়েছে, ‘যদি তোমাদের উপর মেঘ ছেয়ে যায় তাহলে ত্রিশ দিন রোজা রাখো। (রিয়াদুস সালেহীন ৩/১৫৯ হাদীস নং ১২২১)

অন্য একটি হাদিসে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- ‘রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, ‘তোমরা রমজানের আগে রোজা রেখো না, বরং চাঁদ দেখে রোজা রাখো এবং চাঁদ দেখে শেষ করো। যদি তোমাদের ও চাঁদের মাঝখানে মেঘ প্রতিবন্ধক হয়ে যায় তাহলে ত্রিশ দিন পূর্ণ করো।’ (তিরমিযী, রিয়াদুস সালেহীন ৩/১৬১ হাদীস নং ১২২৫)

চাঁদ দেখার মাসআলা : শাবান মাসের ঊনত্রিশ তারিখের সন্ধ্যাবেলায় রমজানের চাঁদ তালাশ করা মুসলমানগণের উপর ওয়াজিব। যদি চাঁদ দেখা যায় তবে পরবর্তী দিন রোজা রাখবে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকার কারণে যদি চাঁদ দেখা না যায়, তবে শাবান মাসকে ত্রিশ দিন গণনা করবে। ঈদুল আজহার চাঁদের হুকুম ঈদুল ফিতরের চাঁদের অনুরূপ। (ফাতওয়ায়ে আলমগিরি, দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম, ইফা/৩০৩)

উক্ত হাদিসসমূহ থেকে বুঝা গেলো, প্রত্যেক দেশের অধিবাসীদের জন্য তাদের চাঁদ দেখা তাদের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য, অন্য দেশি মানুষের জন্য নয়। সুতরাং কোনো দেশের লোক যদি চাঁদ দেখে তবে এ হুকুম তাদের থেকে দূরবর্তী লোকদের জন্য প্রযোজ্য হবে না। যেমন, সিরিয়ার চাঁদ মদীনার জন্য গ্রহণযোগ্য হয়নি। অতএব, সৌদি আরবসহ অন্য কোনো দেশের চাঁদ দিয়ে বাংলাদেশে রোজা রাখা ও ঈদ করা শরীয়তসম্মত নয়। সৌদি আরবের সঙ্গে আমাদের দেশের নামাজের সময়সূচির যেমন মিল নেই তেমনি সাহরী-ইফতারির সময়সূচিরও মিল নেই। তাই রোজা ও ঈদের দিনেরও মিল হবে না।

(বিশেষ দ্রষ্টব্য: উল্লেখিত সূত্র সমুহে কোনো প্রকার সন্দেহ হলে অবশ্যই আলেমদের মতামত নিবেন। কারণ লেখাটি অনলাইন সংবাদ মাধ্যম ”আমাদের সময়.কম ” থেকে নেয়া হয়েছে)

-সগ্রহ করেছেন : সাইফুল ইসলাম সানি। 

Check out our other content

Check out other tags:

Most Popular Articles