নিজস্ব প্রতিবেদক: মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সরেজমিনে ওই গ্রামে গিয়ে স্থানীয়দের কথা বললে বেরিয়ে আসে কলেজ ছাত্রীকে সাতমাস আটকে রেখে ধর্ষণকারী বাদলের নানা কু-কর্ম। কাশেম বাজারে উপস্থিত হতেই এগিয়ে আসেন বেশ কিছু লোক। বাদলের কথা জিজ্ঞেস করতেই সমস্বরে তারা বাদলের অপকর্মের নানা কাহিনী তুলে ধরেন। তারা অভিযোগ করেন- এমন কোন কাজ নেই বাদল করতে পারেনা। নিজেকে সরকার দলীয় লোক পরিচয় দিয়ে এলাকার লোকজনকে হয়রানিসহ নানাভাবে প্রতারণা করাই ছিলো তার নিত্যদিনের কাজ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সরেজমিনে ওই গ্রামে গিয়ে স্থানীয়দের কথা বললে বেরিয়ে আসে কলেজ ছাত্রীকে সাতমাস আটকে রেখে ধর্ষণকারী বাদলের নানা কু-কর্ম। কাশেম বাজারে উপস্থিত হতেই এগিয়ে আসেন বেশ কিছু লোক। বাদলের কথা জিজ্ঞেস করতেই সমস্বরে তারা বাদলের অপকর্মের নানা কাহিনী তুলে ধরেন। তারা অভিযোগ করেন- এমন কোন কাজ নেই বাদল করতে পারেনা। নিজেকে সরকার দলীয় লোক পরিচয় দিয়ে এলাকার লোকজনকে হয়রানিসহ নানাভাবে প্রতারণা করাই ছিলো তার নিত্যদিনের কাজ। বিয়েও করেছেন একাধিক। এলাকায় নিয়মিত থাকেন না। মাঝেমধ্যে এসে এ বাড়ি ওবাড়ি থাকেন। এখানে রয়েছে তার পরিত্যক্ত একটি বাড়ি। বাবা-মা অনেক আগেই মারা গেছেন। বড় হয়েছেন ঢাকায়। দুই বোনের বিয়ে হয়েছে। সেই পরিবারের একমাত্র ছেলে। সর্বশেষ বউকে নিয়ে এখন টাঙ্গাইলেই বসবাস করেন। এলাকার বহু নারী-পুরুষের কাছ থেকে চাকরী, বিদেশ পাঠানো এবং ধারকর্জসহ নানা অজুহাতে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। সেই টাকা চাইতে গেলেই মামলা হামলা ও পুলিশ দিয়ে হয়রানি করেছেন অনেককেই। এলাকায় নিজেকে সে টাঙ্গাইল জেলা বঙ্গবন্ধু জয়বাংলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পরিচয় দিয়ে বেড়ান সব সময়। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা মো. জালাল উদ্দিন (৭০) বলেন, ‘বাদল একটা লম্পট প্রতারক। এমন কোনো অপকর্ম নাই সে করে নাই। তিনি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। ওষুধ ব্যবসায়ী নৃপেন চৌধুরী বলেন, পুলিশের সঙ্গে খাতির করে এলাকার লোকজনকে মাদক দিয়ে ধরিয়ে দেন। আবার টাকা দিলে ছাড়িয়েও রাখেন।’ স্থানীয় কৃষক মুক্তার আলী বলেন, ‘বাদল তিনটি বিয়ে করেছে বলে শুনেছি।’ ভুক্তভোগী মিষ্টি ব্যবসায়ী নিয়ন কাফী বলেন, আমি তার কাছে বকেয়া টাকা চাইতে গেলে উল্টো ডিবি পুলিশ দিয়ে আমার দোকানে মাদক আছে বলে তল্লাশি করা হয়। মাটি কাটা শ্রমিক জয়নাল বলেন, ‘মাটিকাটা লেবারদের ১০ হাজার টাকা আমি তার কাছে পাই। কিন্তু টাকা চাইতে গেলে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়।’ গৃহবধূ ফিরোজা বেগম বলেন, আমার ছেলেকে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে ৭০ হাজার টাকা নেয় বাদল। কিন্তু টাকা নিলেও চাকরীও দেয়নি টাকাও ফেরত দেয়না।’ গৃহবধূ হাসনা আক্তার বলেন, বাদল আমার কাছ থেকে ধার হিসেবে ৪০ হাজার টাকা নিলেও ফেরত দেয়নি। আমি গরিব মানুষ। এখন স্বামী আমারে বকাঝকা করে। একযোগে তারা লম্পট প্রতারক বাদলের বিচার দাবি করেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য আহসান কবির বলেন, বাদল হলো বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন টাউট। ধোকাবাজি হলো তার প্রধান কাজ। বিভিন্ন সময় তার নামে সালিসি বৈঠক করা হয়েছে।