নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সখীপুর উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকা সঠিক নিয়মেই করা হয়েছে। ওই তালিকা প্রণয়নে স্থানীয় সংসদ সদস্যের কোন হস্তক্ষেপ নেই। এমপি মহোদয়কে জড়িয়ে যে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে সেটি মিথ্যা ও বানোয়াট। বুধবার দুপুরে গজারিয়া ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আনোয়ার হোসেন সখীপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমে লিখিত বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান বুলবুল একজন জনবিচ্ছিন্ন নেতা। তিনি এছাড়া তার পরিবারের সবাই অন্য রাজনৈতিক দলের নেতা ও সমর্থক। আনোয়ার হোসেন তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি এবং আমার পরিবার কখনো বিএনপি ও অন্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত না। সকল নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছি।
দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশিদের তালিকা প্রণয়নে স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম তার পছন্দের লোককে এক নম্বরে দিয়েছেন বলে আতিকুর রহমান বুলবুল যে অভিযোগ করেছেন তা মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তিনি আরও বলেন, প্রকৃতপক্ষে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতির নেতৃত্বে সকলের মতামতের ভিত্তিতে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে গজারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুল আমিনসহ উপজেলা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের প্রায় দুই শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুল আমিন বলেন, সকলের মতামত নিয়েই দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এতে স্থানীয় সংসদ সদস্য কোনো হস্তক্ষেপ করেনি।
উল্লেখ্যঃ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী আতিকুর রহমান বুলবুল সোমবার সখীপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন দলের বর্ধিত সভা বা কার্যনির্বাহী কমিটির সভা না করেই দলের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী ভাবে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম প্রভাব খাটিয়ে তাঁর অনুগত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেনের নাম এক নাম্বারে দিয়ে কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন । বুলবুল অভিযোগ করেন আনোয়ার হোসেন উপজেলা ছাত্রদলের নেতা ছিলেন এবং তার পরিবারের অন্য সদস্যরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা। সে বিভিন্ন নির্বাচনে দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করেছেন বলেও তিনি অভিযোগ করেন।