সাইফুল ইসলাম সানি: সৌদি আরব থেকে বাড়ি ফেরার পরের দিনই নিখোঁজ হন আক্কাস আলী। প্রায় তিন মাস পেরোলেও তাঁর হদিস মেলেনি। এ নিয়ে তাঁর বাবা থানায় অপহরণের মামলা করেন। পরে গতকাল শুক্রবার গোয়েন্দা পুলিশ আক্কাস আলীকে উদ্ধার করে জানতে পারেন, তিনি অপহৃত হননি, আত্মগোপনে গিয়ে চাকরি করছিলেন। সূত্র: প্রথম আলো অনলাইন।
শুক্রবার রাতে টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি দক্ষিণ) ওসি শ্যামল কুমার দত্তের নেতৃত্বে ঢাকার গুলশান-২ এলাকা থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের সময় একটি কারখানার নিরাপত্তা প্রহরীর পোশাক পড়া অবস্থায় ছিল বলে পুলিশ জানায়।
আক্কাস আলী (২৮) টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কৈয়ামধু গ্রামের জাবেদ আলীর ছেলে। তিনি গত ২৫ জুন সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরেন। পরদিন ২৬ জুন নিখোঁজ হন। আক্কাস আলীকে উদ্ধারের পরে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় আজ শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, নিখোঁজ হওয়ার দিন আক্কাস আলী সৌদি আরব থেকে আনা কিছু মালামাল তাঁর এক বন্ধুর বাড়ি পৌঁছে দিতে যান। এরপর থেকে তাঁর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। ঘটনার দুই দিন পর তাঁর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। নিখোঁজের পরে আক্কাসের বাবা টাঙ্গাইল সদর থানায় প্রথমে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) এবং ৯ জুলাই অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে অপহরণের মামলা করেন।
সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে। পুলিশ প্রযুক্তির মাধ্যমে আক্কাস আলীর অবস্থান চিহ্নিত করে। পরে তাঁকে ঢাকার গুলশান-২ এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর আক্কাস গোয়েন্দা পুলিশকে জানান, বিয়ে না করার জন্যই তিনি আত্মগোপন করেছিলেন। পরে ঢাকার একটি বেসরকারি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানে চাকরি নেন।
সুপার জানান, টাঙ্গাইল বিচারিক হাকিম আদালতে আজ বিকেলে আক্কাসকে হাজির করা হয়। জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নওরিন মাহবুবা তাঁর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেছেন।
এসবি/সানি