নিজস্ব প্রতিবেদক: দুইদিনের ব্যবধানে আরো একটি মানবিক উদ্যোগ নিলেন সখীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আসমাউল হুসনা লিজা। মানসিক ভারসাম্যহীন বৃদ্ধার পর এবার তিনি বিশ বছর বয়সি এক যুবতির পাশে দাঁড়ালেন। সেও মানসিক ভারসাম্যহীন। সোমবার ওই যুবতিকেও তিনি ভব ঘুরে কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন। ইউএনও’র সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, খবর পেয়ে ওই যুবতির খোঁজ নিতে সখীপুর সরকারি পিএম পাইলট মডেল স্কুল এন্ড কলেজে যান। গিয়ে জানতে পারেন মেয়েটি দীর্ঘদিন ধরে কলেজের মাঠের এক পাশে থাকে। রোদ-বৃষ্টি তার উপর দিয়ে যায়। কলেজ হোস্টেলের খাবার খেয়ে জীবন চলত। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারনে কলেজ বন্ধ থাকায় হোস্টেলও বন্ধ। বাজারের হোটেল-রেস্তোরাও বন্ধ। তাই অনাহারে- অর্ধাহারে জীবন কাটে তার। ঠিকানা জানতে চাইলে বলতে পারেনা। করোনার ভয় ক্ষুধা বা সমাজের দুষ্টু চোখ কোন কিছুই তাকে স্পর্শ করেনা-তাড়া করে বেড়ায়না। করোনাভাইরাস নিরাপত্তা অন্ন-বস্র-আশ্রয়ের কথা ভেবে মেয়েটিকে গাজীপুুুরের পূূূবাইলে আশ্রয়নে (ভব ঘুরে) কেন্দ্রে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে পুলিশ ও সমাজসেবা অফিসের লোক দিয়ে তাকে পাঠানো হয় ভব ঘুরে কেন্দ্রে।
ইউএনও আসমাউল হুসনা লিজা বলেন, মেয়েটির ব্যক্তিগত নিরাপত্তাসহ নানা কারণেই তাকে ভব ঘুরে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। গত দু দিনে এমন দুটি কাজ করতে পেরে আমার ভাল লাগছে। ওই কলেজের অধ্যক্ষ কেবিএম খলিলুর রহমান বলেন ,অসহায় দুইজন মানুষকে মাথা গুজার ঠাঁই করে দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অত্যন্ত মানবিক ও দায়িত্বশীল যে কাজ করেছেন তা প্রশংসনীয়। সখীপুর থানার অফিসার্স ইন-চার্জ আমির হোসেন বলেন, পুলিশ দিয়ে মেয়েটিকে ভব ঘুরে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।