নিজস্ব প্রতিবেদকঃ এছহাক আহমদ আল গামদি (৪৫)সৌদি আরবের ধনকু্েবর। তিনি একজন ব্যবসায়ী। সৌদি আরব ছাড়া আরও কয়েকটি রাষ্ট্রে রয়েছে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। রয়েছে একাধিক বাড়িও। তিনি একজন পর্যটকও। তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সফর করেছেন। সৌদি নাগরিক এছহাক আহমদ আল গামদি গত ২১ মার্চ বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের গড়বাড়ি গ্রামের টুকপাড়া এলাকায় এসেছেন। ওই এলাকার বাসিন্দা দুই সহোদর রুহুল আমীন ও আবদুল আজিজের বাড়িতে। রুহুল আমীন ও আবদুল আজিজ দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবে থাকেন। তারা দুজনেই এছহাক আহমদ আল গামদির (কফিল) ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। দুই ভাইয়ের আমন্ত্রণেই এসেছেন সৌদি আরবের ধনকু্েবর এছহাক আহমদ আল গামদি। ওই দুই ভাই-ই তাদের সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন গামদিকে।

শনিবার (২৬ মার্চ) গামদির সঙ্গে উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের গড়বাড়ি গ্রামের টুকপাড়ায় বাংলাদেশের সফরসহ নানা বিষয়ে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তিনি বাংলাদেশে আসতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। এই প্রথম তিনি বাংলাদেশে এসেছেন। কয়েকদিনে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক পরিবেশ, কৃষ্টিকালচার, বাংলাদেশি মানুষের আচার-আচরণ, খাবার-দাবার দারুণভাবে মুগ্ধ করেছে তাকে। বললেন এ প্রতিবেদককে। তিনি জানান, টুকপাড়া এলাকার একটি সামাজিক জামে মসজিদের সার্বিক উন্নয়নের দায়িত্ব নিয়েছেন। মসজিদটি অল্প পরিমান কাজ হয়েছে। এর আধুনিক যত ধরণের কাজ রয়েছে সেটি তিনি করে দিবেন। তিন এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সৌদি আরব ছাড়াও আরও কয়েকটি রাষ্ট্রে রয়েছে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। রয়েছে একাধিক বাড়িও। বাংলাদেশেও এদেশের নিয়ম কানুন মেনে একটি বাড়ি করার ইচ্ছে রয়েছে তার টুকপাড়া এলাকাতেই। এখানে সময় সাপেক্ষে এসে আলাদা পরিবেশে অবস্থান করে স্থানীয় হতদরিদ্র-অসহায় মানুষদের সহযোগিতামূলক সামাজিক কর্মকান্ড করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন সৌদি আরবের এই ধনকু্েবর। এলাকাবাসীও তার আগমনে ও একটি জামে মসজিদের সার্বিক উন্নয়নের দায়িত্ব নেওয়ায় খুশি হয়েছেন। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেহেতু আমি ব্যবসায়ী মানুষ। হোটেল-মোটেল, অ্যাপার্টমেন্টসহ কয়েকটি ব্যবসায় বিনিয়োগ করে থাকি। বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম নীতি মোতাবেক এদেশেও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ইচ্ছার কথা ব্যক্ত করেছেন তিনি। এছাড়াও তার কোম্পানিতে বাংলাদেশি দক্ষকর্মী নিয়োগ দেওয়ার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন সৌদি আরবের ধনকু্েবর এছহাক আহমদ আল গামদি। দুই সহোদর রুহুল আমীন ও আবদুল আজিজ বলেন, গামদি অত্যন্ত বিনয়ী, নিষ্ঠাবান ও সৎ মানুষ। সার্থক এবং সফল ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা হিসেবে তার ব্যাপক সুনাম রয়েছে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছি। আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে গামদি বাংলাদেশে এসেছে। পরবর্তীতে পরিবার-পরিজন নিয়ে বাংলাদেশ আসবেন বলেও গামদির ইচ্ছে রয়েছে।