নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের সখীপুরে আদালতের নির্দেশে সূচি রাণী (৪০) নামের এক মাহিলার বাড়ি উচ্ছেদ করা হয়েছে। গত ২৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উপজেলার কুতুবপুর শাপলারপাড় এলাকার ওই বাড়িটি উচ্ছদ করে। এ সময় জেলা জজ আদালতের নাজির মো. নজরুল ইসলাম জেলা পুলিশের সহযোগিতায় ঢোল পিটিয়ে বাড়ি উচ্ছেদ করে সীমানায় লাল পতাকা টানিয়ে দেন। এ ঘটনাটিকে ধর্মীয় তকমা লাগিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্ক তৈরি করা হয়। উচ্ছেদের একটি ভিডিওতে ‘বাদ্য-বাজনা আনন্দ-উল্লাসের মাধ্যমে চলছে হিন্দুদের বাড়ি-ঘর ভাঙচুর ও দখল’ শিরোনাম দিয়ে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এ নিয়ে প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহলে সৃষ্টি হয় তোলপাড়। আজ রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল্লাহ আল রনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ওই পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় বড়চওনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলামসহ স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সূচি রাণী বলেন, ইস্তফা দলিলের মাধ্যমে এই জমি কিনে প্রায় ৩০ বছর আগে বাড়ি করি। কিন্তু জসিম নামের এক লোক জমিটি তাঁর নিজের দাবি করে আসছেন। হঠাৎ লোকজন এসে ঢোল বাজিয়ে আমার বাড়িটি ভেঙে দিছে। আমার কোনো কথা তারা শুনে নাই। এখন আমি কোথায় যাবো?

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল্লাহ আল রনী বলেন, খোঁজ নিয়ে জেনেছি আদালতের নির্দেশেই বাড়িটি উচ্ছেদ করা হয়েছে। এখানে ধর্মীয় কোনো বিষয় বিবেচনা করে আদালত রায় দেননি। এ ঘটনা নিয়ে ধর্মীয় তকমা লাগানোর সুযোগ নেই। পরে তিনি সূচি রাণীকে আইনি সহায়তাসহ সব ধরণের সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আদালতের রায়প্রাপ্ত জসিম উদ্দিন বলেন, জমিটি আমার নামে। কিন্তু গত ৭-৮ বছর ধরে সূচি রাণী নামের ওই মহিলা আমার জমিটি দখল করে ছিলেন। চার বছর মামলা চলার পর আদালত জমিটি আমাকে বুঝিয়ে দিয়েছেন।