নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ইয়াবাসহ আটক ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত এএসআইসহ ৫ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত হয়েছেন। পলাতক সোর্স আল আমীনকে শনিবার গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের দুই সোর্সসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আটককৃতদের টাঙ্গাইলের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শামসুল আলমের আদালতে হাজির করলে বিচারক তাদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে আসা আসামিরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন বলে সখীপুর থানা পুলিশ জানিয়েছে। অধিক তদন্তের স্বার্থে তথ্য গোপন রাখা হচ্ছে।
আটক হয়েছেন মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই (উপপরিদর্শক) রিয়াজুল ইসলাম, কনস্টবল গোপাল সাহা, রাসেদুল ইসলাম এবং পুলিশের সোর্স হাসান ও আল আমীন। পলাতক রয়েছেন একই ফাঁড়ির কনস্টবল আব্দুল হালিম, তোজাম্মেল হক। তাদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযানে নেমেছে।
রাজাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা আলী হোসেন ও আজগানা এলাকার বাসিন্দা ছানোয়ার হোসেন জানান, গত বৃহস্পতিবার বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই রিয়াজুল ইসলাম, কনস্টেবল গোপাল সাহা, রাসেদুল ইসলাম এবং পুলিশের সোর্স হাসানসহ আরো কয়েকজন মির্জাপুর ও সখীপুর উপজেলার হতিয়া রাজাবাড়ি গালর্স স্কুল বাজার এলাকায় বজলুর রশিদকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করে। ঘটনা টের পেয়ে আশপাশের লোকজন তাদের ঘেরাও করে তিন পুলিশ ও দুই দলাল চক্রের সদস্যকে আটক করে গণধোলাই দেয়। এ সময় বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টবল আব্দুল হালিম, তোজাম্মেল হক এবং সোর্স আল আমীন পালিয়ে যান। খবর পেয়ে মির্জাপুর ও সখীপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে সখীপুর থানায় নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার রাতেই সখীপুর থানার এসআই আইনুল ইসলাম বাদী হয়ে সাতজনের নামে মাদক আইনে মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর শুক্রবার তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চেয়ে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে বিচারক দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সায়েদুর রহমান এবং সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আমির হোসেন বলেন, অপরাধ করে কোন পুলিশ সদস্য পার পাবে না। যারা পুলিশের সুনাম নষ্ট করার জন্য অপরাধ করে যাচ্ছে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন, ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্যে পুলিশের সকল নিয়ম কানুন উপেক্ষা করে সাদা পোশাকে এক এএসআইসহ, চার কনস্টেবল ও দুই সোর্স সেখানে গিয়েছিল। তারা পুলিশের কোন কাজের জন্য যায়নি, এমনকি কারও নির্দেশও যায়নি। তারা অপরাধী হিসেবেই সেখানে গিয়েছিলো। তাদের কাছ থেকে ২৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে আটক করে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় দুইজন কনস্টেবল পলাতক রয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এসবি/ইসমাইল