মাহমুদুল হাসান রিমন: “এ বিশ্বকে শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার”। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য শিশুদের জন্য ক্ষুধা-দারিদ্র্য ভয়হীন সমাজ উপহার দিতে চেয়েছিলেন। ঠিক তেমনি সখীপুর থানার গজারিয়া ইউনিয়নের কালিয়ান পাড়া গ্রামের মজনু মিয়াও তার সন্তানদের নিয়ে এমনই স্বপ্ন দেখতেন। মজনু মিয়ার অকাল মৃত্যু তাকে জীবন যুদ্ধের ক্লান্তি থেকে মুক্তি দিয়েছে ঠিকই; কিন্তু তার রেখে যাওয়া ছয় সদস্যের পরিবারকে করে গেছেন দিশেহারা।উপার্জনক্ষম একমাত্র ব্যক্তিকে হারিয়ে এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে ওই পরিবার। শিশু সন্তানদের পড়াশোনা এখন বন্ধ প্রায়। কালিয়ানপাড়া গ্রামের পল্লী চিকিৎসক হাসিবুল আলম বলেন, বাড়ি ভিটে ছাড়া তেমন কিছু না থাকায় ওই পরিবারটি এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে। অনেকসময় তারা অর্ধ্বাহারে অনাহারে থাকছে। মজনু মিয়ার বিধবা মা এখনো মনে করেন, সমাজের বিত্তশালীরা এগিয়ে এলে হয়তো তাদের দুর্বিষহ জীবনের সমাপ্তি ঘটবে, তার নাতি-নাতনিরাও আবার স্কুলে যাওয়া শুরু করবে।
-এসবি/সানি