নিজস্ব প্রতিবেদক: সখীপুর উপজেলার বড়চওনা গ্রামের একটি মসজিদের পাশের ঝোপঝাড় থেকে দেড় বছরের এক কন্যা শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে ওই শিশুটিকে নিস্তেজ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সখীপুর উপজেলার বড়চওনা গ্রামের একটি মসজিদের পাশের ঝোপঝাড় থেকে দেড় বছরের এক কন্যা শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে ওই শিশুটিকে নিস্তেজ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার বড়চওনা গ্রামের মোটের পুকুর পাড় মসজিদে স্থানীয় মুসুল্লীরা নামাজ পড়তে গেলে ওই শিশুটিকে দেখতে পান। পাশে মেয়েটির কাপড় ভর্তি একটি ব্যাগও ছিলো। বুধবার রাতের কোনো এক সময় কে বা কারা ওই শিশুকে ফেলে রেখে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর পেয়ে সখীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মৌসুমী সরকার রাখী এবং সমাজসেবা কর্মকর্তা মনসুর আহম্মেদ ওই শিশুটি দেখতে হাসপাতালে যান। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী সরকার রাখী বলেন, শিশুটিকে সুস্থ্য করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহায়তা করা হবে। তার প্রকৃত অভিভাবকের সন্ধান পেতে উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের মাইকিং করতে বলা হয়েছে। প্রকৃত অভিভাবক না পাওয়া পর্যন্ত স্থানীয় এক দম্পতিকে শিশুটির দেখাশুনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক মো. নাজমুল হোসাইন বলেন, ‘দীর্ঘ সময় না খেয়ে বাইরে পড়ে থাকায় শিশুটি অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে। তার শরীরের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। তার দুই হাতের কব্জি সামান্য বাঁকা রয়েছে। এ বিষয়ে বেলতলি গ্রামের কামরুজ্জামান ও লালভানু দম্পতি বলেন, ‘শিশুটিকে পেয়ে আমি খুবই খুশি। স্থায়ীভাবে ওকে পেলে আমি আমার মেয়ের মত করেই লালন পালন করবো।