
ইসমাইল হোসেন: সখীপুর উপজেলার বড়চওনা-ধইণ্যাজানির চটান পাড়া (মসজিদ সংলগ্ন) সড়কের কালভার্ট ভেঙ্গে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারী ও যানবাহন চালকদের। কালভার্টটি ভেঙ্গে যাওয়ায় রাতে মানুষ চলাচলের সময় কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করার ফলে কালভার্টটি ভেঙ্গে যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বড়চওনা-ধইণ্যাজানি পাঁকা সড়কে চটান পাড়া নামক স্থানে কালভার্টটির প্রায় ৯০ শতাংশই ভেঙ্গে বিশাল গর্ত তৈরি হয়েছে। দূর থেকে গর্তটি অনুমেয় না হওয়ার ফলে রাস্তায় চলাচলের সময় অনেক অজানা মানুষ ও যানবাহন প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। দুর্ঘটনা এড়াতে স্থানীয় লোকজন গর্তের মাঝে বাঁশের সাথে লাল কাপড় বেঁধে দিয়ে বিপদ সংকেত চিহ্নিত করে রেখেছেন।
স্থানীয় হালিম, কদ্দুস, মালেক ও বেলালসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, প্রায় মাস ৬ পূর্বে একটি মালবাহী ট্রাক যাওয়ার সময় কালভার্টটি ফেটে যায়। কালভার্টটি ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে এ সড়ক দিয়ে ভারী যানবহান চলাচল করতে পারছে না। স্থানীয়রা আরও জানায়, এ রাস্তার পূর্ব পাশে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী বড়চওনা বাজার, কুতুবপুর বাজার, পশ্চিম পাশে রয়েছে রাজনীতির মোড়, শ্রীপুর, খুংগারচালা বাজার। এ সব গ্রামের ব্যবসায়ী, কৃষিজীবী ও সাধারণ ক্রেতাদের জন্য কালভার্টটি খুবই প্রয়োজন। বিশেষ করে এ রাস্তা দিয়ে ট্রাক, সিএনজি, হাইড্রোলিক, অটোরিক্স্রাসহ এ ধরণের যানবাহন চলাচল করত যা এখন বন্ধ রয়েছে।
তাছাড়া এ সড়ক দিয়ে দু’টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি উচ্চ বিদ্যালয় ও একটি কলেজসহ কয়েকটি প্রাইভেট কোচিং সেন্টারের ছাত্র-ছাত্রীরা যাতায়াত করেন। দূর্ঘটনার আশঙ্কা নিয়ে প্রতিদিন ছাত্র-ছাত্রীদের এ ভাঙ্গা কালভার্ট দিয়ে যাতায়াত করতে হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী কাজী ফাহাদ কুদ্দুস বলেন, ‘কালভার্টটি পূণরায় নির্মাণের জন্য টেন্ডার হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে কাজ শুরু করা হবে।