নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের সখীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের দুপক্ষের সংঘর্ষে দুই কিশোর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে একজনকে ধারালো চাকুর আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে; অপরজনকে বেধড়ক পিটুনি দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার প্রতিমা বংকী মাদ্রাসা পাড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আজ শনিবার বিকেলে চাকুর আঘাতে গুরুতর আহত মোশারফ হোসেনের (১৭) বাবা শুকুর আলী সখীপুর থানায় তিন কিশোরের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দিয়েছেন।


পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বহেড়াতৈল ইউনিয়নের ভুগলীচালা গ্রামের নাসির উদ্দিনের ছেলে শাওন (১৬) প্রায়ই তার নানার বাড়ি প্রতিমা বংকী এসে থাকেন। প্রায় মাস দুয়েক আগে তুচ্ছ ঘটনায় ওই এলাকার শুকুর আলীর ছেলে মোশারফের (১৮) সঙ্গে শাওনের হাতাহাতি হয়। এ ঘটনার জের ধরে শুক্রবার (২১ জুন) রাতে নানার বাড়িতে এসে কিশোর শাওন, ওই এলাকার নাজমুল (২০) ওরফে সম্রাট নাজমুল ও তাদের অপর বন্ধু সাব্বির (১৭) একত্র হয়ে প্রতিমা বংকী বাজারে এসে মোশারফের উপর হামলা চালায়। এ সময় মোশারফ বাজারের একটি ক্লাবে বন্ধুদের সঙ্গে অবস্থান করছিল। ওই তিন বন্ধু মোশারফকে এলোমেলো কিল ঘুষি ও ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় স্থানীয় লোকজন ও আহত মোশারফের বন্ধুরা হামলাকারী শাওনকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। পুলিশ গণধোলাইয়ের শিকার শাওনকে উদ্ধার করে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এর আগে রক্তাক্ত অবস্থায় মোশারফকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে উভয়কেই টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

হামলার শিকার মোশারফ হোসেনের বাবা শুকুর আলী বলেন, আমার ছেলের ঘাড়ে, পায়ে ও পেটে আঘাত করা হয়েছে, প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। সে এখন টাঙ্গাইলে চিকিৎসাধীন। শনিবার দুপুরে শাওন, নাজমুল ও সাব্বির নামের তিন যুবকের নাম উল্লেখ করে সখীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।

গণধোলাইয়ের শিকার শাওনের নানা নজরুল ইসলাম বলেন, শাওন আমার ভাতিজির ছেলে। আমি তাকে নিয়ে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে এসেছি। এরপর তাকে কোথায় নেওয়া হয়েছে তা জানিনা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ শাহিনুর রহমান বলেন, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ আমার হাতে এসে পৌঁছেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।