19 C
Dhaka
Tuesday, November 18, 2025

সখীপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযানে চার প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা

নিজস্ব সংবাদদাতা: সখীপুরে ভোক্তা অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে...

সখীপুরে ৮ মাসে ২৪০ জনকে সর্প দংশন, হাসপাতালে নেই অ্যান্টিভেনম

সাইফুল ইসলাম সানি: টাঙ্গাইলের সখীপুরে ৮ মাসে...

সখীপুরে প্রবাসীর বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপা‌টের ঘটনায় থানায় অ‌ভি‌যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের সখীপুরে ইতালী প্রবাসীর বাড়িঘর...

সখীপুরে গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে কারখানার পরিত্যক্ত তুলা

সখীপুরসখীপুরে গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে কারখানার পরিত্যক্ত তুলা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সখীপুরে গবাদি পশুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে কারখানার পরিত্যক্ত তুলা! যা ব্যবহারে পশুর স্বাস্থ্যহানি ও মৃত্যুঝুঁকিও রয়েছে। পাশাপাশি মানবস্বাস্থ্য ও পরিবেশের উপর ক্ষতির প্রভাব পড়ছে। ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন গরু খামারি ও কৃষকরা। ওইসব খামারিদের চাহিদা মেটাতে এ উপজেলায় ছোট-বড় প্রায় দুইশতাধিক তুলা ব্যবসায়ী গড়ে ওঠেছে।
তুলা খাবার হিসেবে ব্যবহার করলে গবাদি পশুর স্বাস্থ্য ভালো হয় এমন ভ্রান্ত ধারণা থেকেই বেশিরভাগ খামারিরা এ ধরনের খাবার ব্যবহার করছেন। এটি বন্ধে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো দরকার বলে মনে করছেন এলাকার সচেতন মহল। এদিকে গবাদি পশুর খাদ্য হিসেবে এইসব পরিত্যক্ত ক্ষতিকারক তুলা কম দামে ক্রয় করে বেশি দামে বিক্রি ও মজুদ রেখেছেন এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী।
শনিবার সরেজমিন পৌরশহরের জামতলা এলাকায় গিয়ে দেখা যায় ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম গো-খাদ্য হিসেবে কারখানার ক্ষতিকারক উচ্ছিষ্ট তুলা মজুদ রেখে দেদারসে বিক্রি করছেন।
গো-খাদ্য হিসেবে তুলার ব্যবহারের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি প্রায় ১৫ বছর ধরে এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। প্রথম দিকে এ এলাকার মানুষ তুলা খাওয়াতে চায়নি। পরে তাদের নানাভাবে বুঝানোর পর এখন ব্যাপকহারে তুলার ব্যবহার হচ্ছে। তিনি প্রতি কেজি তুলা ১৩/১৫ টাকা ধরে মাসে প্রায় ৬/৮ টন তুলা বিক্রি করছেন।
তিনি আরো বলেন, এ উপজেলায় আমার মতো আর অনেক তুলা ব্যবসায়ী রয়েছে। তুলা গরুকে খাওয়ালে কোন ক্ষতি হয় না। এছাড়া খড়ের চাইতে খরচও অর্ধেক কম। এর আগে তাকে এ খাদ্য বিক্রির দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় বলেও তিনি জানান।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল জলিল বলেন, পশুর একমাত্র সুষম খাদ্য খড় এবং ঘাস। আমরা এগুলো উৎপাদনে খামারিদের উৎসাহ দিয়ে থাকি। তবে এক শ্রেণির অসাধু তুলা ব্যবসায়ী খামারিদের ভুল বুঝিয়ে কারখানার পরিত্যক্ত নষ্ট তুলা গবাদি পশুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করাচ্ছেন। পশু খাদ্যে এ খাবার ব্যবহার ক্ষতিকারক এবং স্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়বে। অনেকে ক্ষেত্রে মৃত্যুর ঝুঁকিও রয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চিত্রা শিকারী বলেন, কারখানার উচ্ছিষ্ট এবং পরিত্যক্ত তুলা যারা বিক্রি এবং মজুদ রাখবে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

Check out our other content

Check out other tags:

Most Popular Articles