
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কালিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড মৌলভীবাজার উত্তরপাড়া টাঙ্গাইলাচালা এলাকায় প্রায় দেড় একর জমি বেদে সম্প্রদায় এর দখলে চলে গেছে। একসময় এই জমিগুলো বনের প্লট ছিল। পুরো এলাকা বনজ এবং ঔষধি গাছে ভরপুর ছিল। কিন্তু এখন বন ধ্বংস করে প্রায় পুরো একটি পাড়া হয়ে গেছে। বেদে সম্প্রদায় ছাড়াও অন্য উপজেলার লোকদের কাছেও চেয়ারম্যান বনের জমি বিক্রি করেছেন বলে জানা গেছে। আর সরকারি সামাজিক বনায়নের এসব জমি মাত্র ২ থেকে ৫ হাজার টাকা শতাংশে বিক্রি করেছেন চেয়ারম্যান জামাল মিয়া।


বেদে সম্প্রদায়ের মোঃ রবিউল ইসলাম জানান, আমরা আসার আগে এখানে সামাজিক বনায়নের প্লট ছিল। জামাল চেয়ারম্যান আমাদের কাছে এ জমি বিক্রি করেছেন। তিনি আমাদেরকে এ এলাকার স্থানীয় ভোটার বানিয়েছেন। আমাদের কেউ কেউ সরকারি বিভিন্ন ভাতাও পাচ্ছেন। আমরা যতদিন বেঁচে আছি এই চেয়ারম্যানকেই ভোট দেব।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিট কর্মকর্তা রুমিউজ্জামান বলেন, কাহারতা মৌজার এমএম চালা বিটের ৩০ নং দাগের জমিগুলো জামাল চেয়ারম্যান ৮ বছর আগে প্রায় দেড় একর সরকারি জমি তিনি জবরদখল করেন। এবিষয়ে তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। যেকোনো সময় যৌথ বাহিনীর সহযোগিতায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বহেড়াতৈল রেঞ্জ কর্মকর্তা এমরান আলী বলেন, আমি এখানে জয়েন করেছি সাত মাস আগে। শুনেছি জামাল চেয়ারম্যান সামাজিক বনায়নের জমি বেদে সম্প্রদায়ের লোকদের কাছে বিক্রি করেছেন। আমরা কয়েক বার উচ্ছেদ অভিযান করতে চেয়েও পারিনি। সাংবাদিকসহ সবার সহযোগিতা পেলে আমরা অবশ্যই উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে বনের জমি উদ্ধার করব।
অন্য জেলার বেদে সম্প্রদায়ের লোকেরা সখীপুরে ভোটার হতে পারেন কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, বেদে সম্প্রদায়ের লোকেরা যেহেতু বাংলাদেশের নাগরিক সুতরাং চেয়ারম্যান যদি তাদেরকে জন্ম সনদ দিয়ে থাকে, তাহলে তারা ওই এলাকার ভোটার হতে পারেন, এতে কোনো সমস্যা নেই।
উপজেলা বনায়ন কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল্লাহ আল রনি বলেন, আমার এ বিষয়ে কোনো কিছু জানা নেই। খোঁজ নিয়ে পদক্ষেপ নেব।