নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সখীপুরে বৈশাখের শুরুতেই হঠাৎ করে শুরু হওয়া ধমকা হাওয়া আর কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রচণ্ড গতির বাতাসে কাচা-পাকা ঘর ভেঙে পড়াসহ উড়ে গেছে টিনের চালা। এছাড়া আমের মুকুল, লিচু ও জমির ইরি বোরো ধান, কলা গাছসহ বিভিন্ন জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে, প্রচণ্ড বাতাসে গাছ ভেঙে ঘরে পড়ে আলমারির নিচে পড়ে উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের মাচিয়া গ্রামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। নিহত আছাতন নেছা ওই এলাকার সাহাব উদ্দিনের স্ত্রী এবং স্থানীয় ইউপি সদস্য কিসমত আলীর মাতা। জানা যায়, রোববার ইফতারে পর হঠাৎ করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয় ঝড়ো বাতাস ও শিলা বৃষ্টি। বাতাসের পর পরেই বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ায় বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। সরেজমিনে উপজেলার মাচিয়া গ্রামে দেখা যায়, ওই এলাকার কলা চাষীদের কলা গাছ ঝড়ে মাটিতে নুয়ে পড়েছে। এতে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দমকা হাওয়ায় ওই এলাকার অনেক ঘরবাড়ি ভেঙে পড়াসহ ঘরের চালা উড়ে গেছে। ভেঙে ও উপড়ে পড়েছে বসতবাড়ি ছাড়াও বিভিন্ন সড়কের দুই পাশের ছোট বড় বেশকিছু গাছপালা। এছাড়া উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নে হামিদপুর, কাজিরাপুর, তৈলধারা গ্রামে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। অন্যদিকে পৌর শহরসহ উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে প্রচণ্ড গতির বাতাস আর হালকা শিলা বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমের মুকুল, জমির ধান গাছের থোরসহ জমির বিভিন্ন ফসলের।
কলা চাষী বিল্লাল সিকদার বলেন, ঝড়ে কলা গাছের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমরা সরকারের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করছি।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিয়ন্তা বর্মন বলেন, হঠাৎ করে বয়ে যাওয়া দমকা হাওয়ায় বাড়িঘর ও গাছপালা ভেঙে পড়াসহ বিভিন্ন এলাকার ধানের জমি এবং ফসলের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা করা হচ্ছে।