নিজস্ব প্রতিবেদক: সখীপুর বোয়ালী সবুজ বাংলা মহিলা দাখিল মাদ্রাসায় দপ্তরি নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ওই মাদ্রাসার নিয়োগ কমিটি আজিজুল ইসলাম নামের এক প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নিয়েও গত ২৫ জানুয়ারি নিয়োগের দিন তাকে নিয়োগ না দিয়ে হাবিব মিয়াকে নিয়োগ দেয়। এ ঘটনায় আজিজুল মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও সুপারকে দায়ী করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বোয়ালী গ্রামের মোমরেজ আলীর ছেলে আজিজুল মিয়া ছয়মাস আগে ওই মাদ্রাসার সভাপতি ফজলুল হককে এক লাখ ও সুপার খন্দকার ইব্রাহিমকে এক লাখ ৯০ হাজার ও ম্যানেজিং কমিটির আরও দুই সদস্যকে এক লাখ টাকা দিয়ে নিয়োগ পাওয়ার আশায় ওই মাদ্রাসায় দপ্তরি হিসেবে বিনা বেতনে কাজ করতে থাকে। গত ২৫ জানুয়ারি নিয়োগের দিন ওই কমিটি আজিজুলকে নিয়োগ না দিয়ে ওই গ্রামেরই অপর প্রার্থী হাবিব মিয়াকে নিয়োগ দেয়।
ওই মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা ও নিয়োগ কমিটির সভাপতি ফজলুল হক আজিজুলের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আজিজুলকে নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও পরীক্ষায় হাবিব মিয়া প্রথম হওয়ায় নিয়োগ দেওয়া যায়নি। এখন ওই টাকা আজিজুলকে ফেরত দেওয়া হবে।
মাদ্রাসার সুপার খন্দকার ইব্রাহিম আজিজুলের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, নিয়োগে কোনো অনিয়ম হয়নি। তাই আজিজুলকে নেওয়া যায়নি।
আজিজুল মিয়া বলেন, সুপার নিজে আমার কাছ থেকে কয়েক দফায় এক লাখ ৯০ হাজার টাকা, সভাপতি ফজলুল হক এক লাখ টাকা, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য শরীফ হোসেন ৫০ হাজার ও আরেক সদস্য মোমরেজ মিয়াকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে গত ছয়মাস ধরে ওই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছি। কিন্তু নিয়োগের দিন আমাকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। প্রশ্ন ফাঁস করে হাবিবকে প্রথম করা হয়েছে। নিয়োগ কমিটি মাত্র দেড় লাখ টাকা ফেরত দিতে চাচ্ছে। আজিজুল দাবি করেন, টাকা নেওয়ার বিষয়ে তাঁর কাছে প্রমাণ স্বরুপ অডিও রেকর্ড রয়েছে।
সখীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আয়শা জান্নাত তাহেরা বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলমান। তাই এ বিষয়ে এখনি কোনো কথা বলতে চাইনা।