নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সখীপুরে ধুমধাম করে বিয়ে হয়ে গেল ১০ শ্রেণির ছাত্রী কেয়া আক্তারের। সখীপুর উপজেলা প্রশাসনের ভয়ে বৃহস্পতিবার পার্শ্ববর্তী ঘাটাইল উপজেলার জোড়দিঘি এলাকায় এ বাল্যবিয়ে সম্পন্ন হয়। কেয়া আক্তার সখীপুর উপজেলার কুতুবপুর শাপলা পাড়া গ্রামের কুপন আলীর মেয়ে এবং ঘাটাইল উপজেলার ফজরগঞ্জ দাখিলি মাদরাসার ১০ শ্রেণির ছাত্রী। জানা যায়, সখীপুর উপজেলার তৈলধারা গ্রামের প্রবাসী লিলিম ওরফে কালু মিয়ার ছেলে সৌদিআরব প্রবাসী নাসির উদ্দিনের সঙ্গে কুতুবপুর শাপলা পাড়া গ্রামের কুপন আলীর মেয়ে মাদরাসা ছাত্রী কেয়া আক্তারের বিয়ে ঠিক হয়। সখীপুর উপজেলা প্রশাসনের ভয়ে পাশের ঘাটাইল উপজেলার জোড়দিঘি গ্রামে ধুমধাম করে বাল্য বিয়ে সম্পন্নের কাজ চলে। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার কনের বাড়ির সামনে বিরাট গেট সাজানো হয়। মাইক্রোবাস ও গাড়ি নিয়ে আসেন বর ও বরযাত্রীরা। চলে ধুমধাম করে বাল্য বিয়ের আয়োজন। অন্যদিকে শুক্রবার দিনব্যাপী বরের বাড়িতেও চলে ওই বাল্যবিয়ের আয়োজন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যাক্তি জানায়, স্থানীয় মহানন্দনপুর বিজয় স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হাফিজুর রহমান বরের পক্ষে বিয়ের সার্বিক দেখাশোনা ও কেনা-কাটা করেন। ঘটনার সততা স্বীকার করে সাবেক ইউপি সদস্য আবু সাঈদ আজাদ বলেন, আমি বরের বাড়িতে দাওয়াত খেয়েছি। তবে এটি বাল্যবিয়ের কিনা বিষয়টি আমি অবগত না। এ বিষয়ে মহানন্দনপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি ও ইউনিয়ন সেচ্ছসেবক লীগের সভাপতি শাহ আলম মিয়া বলেন, আমি কনে তুলতে ওই বাড়িতে গিয়েছিলাম। যদি এটি বাল্যবিয়ে হয় তাহলে ওই এলাকার জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্যরা এ বিয়ের আয়োজন কিভাবে করলো?