মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৭ বছর আগে সখীপুর পৌরসভার ৩নম্বর ওয়ার্ডের সৌখিন মোড় এলাকার আজাহার উদ্দিনের মেয়ে আর্জিনা আক্তারের সঙ্গে উপজেলার শোলাপ্রতিমা গ্রামের আলমের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ৫ বছর বয়সী এক পুত্র সন্তান রয়েছে। বিয়ের চার বছর পর আর্জিনার সঙ্গে দাড়িয়াপুর ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আজগর আলী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। ঘটনা জানাজানি হলে গত দুই বছর আগে স্বামী আলম মিয়া আর্জিনাকে ডিভোর্স দেন। এরপর থেকে আর্জিনা ছেলেকে নিয়ে সৌখিন মোড়ের ওই বাসায় থাকতো। ডিভোর্সের পর আজগর আলী আর্জিনার বাসায় নিয়মিত যাতায়াত করতো। এ ব্যাপারে বেশ কয়েক দফা শালিসী বৈঠকও করেছে এলাবাসী।
আর্জিনার ভাই রফিকুল ইসলাম জানান, আজগরের অনৈতিক সম্পর্কের কারণে আর্জিনা অন্ত:স্বত্তা হয়ে পড়ে। গত ৭ সেপ্টেম্বর বিয়ের দাবিতে আর্জিনা আজগরের বাড়িতে অবস্থান নিলে আর্জিনার ওপর ব্যাপক নির্যাতন চালানো হয়। এক পর্যায়ে আর্জিনা অসুস্থ্য হয়ে পড়লে ৮ সেপ্টেম্বর তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। কিছুটা সুস্থ্য হলে সে বাসায় ফিরে আসে। শনিবার সন্ধ্যায় আর্জিনা টয়লেটে গেলে তার গর্ভের সন্তান পড়ে যায়। আজগর আলীর নির্যাতনের কারণেই এ গর্ভপাত হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

সখীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজিজুল ইসলাম বলেন, নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ পরিক্ষার জন্য টাঙ্গাইল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নবজাতকের মাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।