নিজস্ব প্রতিবেদক: সখীপুরে এক নারীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তার বিরুদ্ধে। ওই চেয়ারম্যানের বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ হোসেন পাটওয়ারীর হাতে স্মারকলিপি দিয়েছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী (বীরউত্তম)। বুধবার সনকাল ১১টায় তিনি স্মারকলিপি তুলে দেন তিনি। কাদের সিদ্দিকী ওই চেয়ারম্যানকে আইনের আওতায় আনতে সাত দিনের সময় বেঁধে দেন। তা না হলে রাস্তায় বসে পড়বেন বলেও ঘোষণা দেন তিনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেওয়ার পর কাদের সিদ্দিকী করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময়ও সখীপুরে কোনো নারী নির্যাতিত হয়নি। কেউ যদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হয়, সে নিশ্চয় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বা জাতিসংঘের সেক্রেটারি নয়। আমি এজন্য এসেছি ঘটনার যেনো সুষ্ঠু বিচার হয়। আজ পাঁচ দিন হয়ে গেল, আমি শুনেছি যারা এই নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত তারা এখনো ভুঁড়ি ভাসিয়ে হাঁটছে।

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আমি এমনিতেই কিছু করতে পারিনা একটা সমস্যায় যে, আমি কিছু করলে দেশে আগুন জ্বলে ওঠে কি-না! এবং তাতে আমার বোন শেখ হাসিনার ক্ষতি হয় কি-না! আমি জানি অনেকেই ঘটনাটি ঘরে বসে সমাধানের চেষ্টা করছেন। যিনি অত্যাচার করেন, যদি তার এতই মাফ চাইতে হয়, যদি তিনি মাঠে এসে সকলের সামনেও নির্যাতিত ওই নারীর কাছে মাফ চান, আমরা সবাই যদি বলি; তারপরও যদি ওই নারী মাফ না করেন তবুও এর বিচার হওয়া দরকার। সে যেই হোক, একজন নারী নির্যাতিত হোক আমি তা চাইনা। আমি ইতিমধ্যেই এই কাগজ (স্মারকলিপি) সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে পাঠিয়ে দিয়েছি।
এ সময় তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে এর সুষ্ঠু বিচার না হলে; আর কে কী করবে আমি জানিনা, কিন্তু আমি রাস্তার মধ্যে বসে থাকব, একা হলেও বসে থাকব।
পরে তিনি মারধরের শিকার জেসমিনকে দেখতে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। জেসমিনের খোঁজ খবর নিয়ে তাঁকে আশ্বাস দেন।
এ বিষয়ে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ শাহিনুর রহমান বলেন, অভিযোগটি সাধারণ ডায়েরি হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা পেলেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ হোসেন পাটওয়ারী বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২ মার্চ শনিবার বিকালে পারিবারিক কলহের জেরে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তা তাঁর প্রতিবেশী জেসমিন আক্তারকে (৩৫) মারধর করেন। অপর প্রতিবেশী রুবেলকে (৩৫) সঙ্গে নিয়ে চেয়ারম্যানের মারধরের ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওইদিনই মারধরের শিকার জেসমিন সখীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।