
- সাইফুল ইসলাম সানি: সখীপুরে দিন দিন বেপরোয়া হয়ে ওঠছে বন বিভাগ। শনিবার ভোরে কোন প্রকার নোটিশ ছাড়াই উপজেলার প্রতিমা বংকী গ্রামে কয়েকটি ঘর ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় জনতা সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা-গোড়াই-সখীপুর সড়কে গাছ ফেলে ও টায়ার জ্বালিয়ে এক ঘন্টা অবরোধ করে রাখেন। এ সময় পৌরসভার গ্যাস স্টেশন এলাকায় দুই পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার প্রতিমা বংকী মৌজার ৪৪৮,৪৪৯ দাগে ওই গ্রামের হাজী নাইম উদ্দিন মাস খানেক আগে পোল্ট্রি খামারের জন্যে চারটি টিনের ঘর নির্মাণ করেন। শনিবার ভোরে স্থানীয় বন বিভাগ অর্ধ শতাধিক লোকজন নিয়ে ওই ঘরগুলো ভেঙে দেন। এ সময় বাধা দিতে গেলে হাজী মাইন উদ্দিন (৬০) ও তাঁর নাতনি রুমা আক্তার (২০) আহত হন। এ ঘটনায় এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষুব্ধ জনতা উপজেলার প্রতিমা বংকী গ্যাস স্টেশন এলাকায় ঢাকা-গোড়াই-সখীপুর সড়ক এক ঘন্টা অবরোধ করে রাখেন। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে টাঙ্গাইল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মাসুদ রানা, সহকারি বন সংরক্ষক (এসিএফ) সাজ্জাদুজ্জামান, বহেড়াতৈল রেঞ্জ কর্মকর্তা আতাউল মজিদ ও ডিবি গজারিয়ার বিট কর্মকর্তা কামাল হোসেনের প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী সরকার রাখী ও সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মর্তা মাকছুদুল আলম ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি মিমাংসার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মাসুদ রানা মুঠোফোনে বলেন, আজকের বন বিভাগের অভিযানটি সঠিক নিয়মেই করা হয়েছে। কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার দাবি ও সড়ক অবরোধ এটা অযৌক্তিক। বনের জমি অবৈধভাবে জবর-দখল করা যেমন অপরাধ তেমনি আবার সড়ক অবরোধ করা আরেকটি অপরাধ।
এ ব্যাপারে সখীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌসুমী সরকার রাখী বলেন, অবরোধের খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই ও অবরোধ তুলে নিতে বললে আন্দোলনকারীরা অবরোধ তুলে নেন। বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের সঙ্গে বসে মীমাংসা করা হবে।