21.4 C
Dhaka
Wednesday, March 26, 2025

সখীপুরে ১৬ হাজার উপকারভোগী পেলেন ভিজিএফের চাল

নিজস্ব প্রতিবেদক: আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে...

আমরা দেশপ্রেমিক অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পেয়েছি: আযম খান

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস...

সংস্কার বাস্তবায়ন করতে নির্বাচন অত্যাবশ্যকীয়: আযম খান

সাইফুল ইসলাম সানি: বিএনপির (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল)...

সখীপুরে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে ধর্ষণ মামলা, অবশেষে ধরা পড়লো আসল নয়ন

জাতীয়সখীপুরে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে ধর্ষণ মামলা, অবশেষে ধরা পড়লো আসল নয়ন

সাইফুল ইসলাম সানি: টাঙ্গাইলের সখীপুরে পঞ্চম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে (১৪) ফুঁসলিয়ে অপহরণের পর কক্সবাজার নিয়ে ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া এক নয়ন টাঙ্গাইল কারাগারে বন্দী রয়েছেন। বন্দী নয়নের অনুরোধেই মামলাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে ইতোমধ্যে আরেক নয়নকে গ্রেপ্তার করেছে সখীপুর থানা পুলিশ। পুলিশ বলছে- পরে গ্রেপ্তার হওয়া নয়নই আসল আসামি ও ধর্ষক নয়ন। গত ৭ অক্টোবর বাসাইল বাসস্ট্যান্ড থেকে মামলার প্রকৃত আসামি নয়ন মিয়াকে (২২) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সে বাসাইল উপজেলার বাঘিল দারোগাবাড়ী নাকাসিম গ্রামের ফারুক ওরফে নূহু মিয়ার ছেলে। এদিকে প্রথম গ্রেপ্তার হওয়া সখীপুর উপজেলার প্রতিমা বংকী গ্রামের শাহজাহান মিয়ার ছেলে বাবুল হোসেন নয়নের জামিনের প্রক্রিয়া চলছে।
সখীপুর থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২১ সেপ্টেম্বর সখীপুর উপজেলার ওই ছাত্রী বাসাইলের চাপড়াবিল এলাকায় ঘুরতে যায়। সেখান থেকে নয়ন মিয়া ওই ছাত্রীকে ফুঁসলিয়ে কক্সবাজার নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং ২৫ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল ডিসি লেকের পাশে রেখে পালিয়ে যায়। পরিবারের লোকজন মেয়েটিকে বাড়িতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মেয়েটি শুধু নয়নের নাম উল্লেখ করে। পরে ২৬ সেপ্টেম্বর মেয়েটির মা বাদী হয়ে প্রতিবেশী শাহজাহান আলীর ছেলে বাবুল হোসেন নয়নকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। ওই মামলার ভিত্তিতেই পুলিশ প্রতিমা বংকী গ্রামের বাবুল হোসেন নয়নকে গ্রেপ্তার করে মেয়েটির মুখোমুখি করেন। সেখানেও মেয়েটি গ্রেপ্তার হওয়া বাবুল হোসেন নয়নকেই ধর্ষক হিসেবে চিহ্নিত করে। পরে নয়নকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সখীপুর থানার এসআই আসাদুজ্জামান বলেন, জেলগেটে প্রথম গ্রেপ্তার হওয়া নয়নকে জিজ্ঞাবাদের সময় সে বারবার নিজেকে নির্দোষ দাবি করছিল। পরে মেয়েটির কাছ থেকে কক্সবাজারের একটি আবাসিক হোটেলের ভিজিটিং কার্ড পাওয়া যায়। ওই হোটেলের সিসি টিভি ফুটেজ দেখে এবং সেখানে দেওয়া মুঠোফোনের সূত্র ধরে প্রকৃত আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। ইতোমধ্যে প্রকৃত আসামি বাসাইল উপজেলার নয়ন মিয়া আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছে। প্রথমে ভুল তথ্য দেওয়ার বিষয়ে ওই মেয়েটি এখন বলছে- ‘ওই সময় আমার মাথা ঠিক ছিলোনা।’ ওই এসআই আরো যোগ করেন, সম্ভবত মেয়েটি তখন ভয়ে ছিলো।
এ বিষয়ে সখীপুর থানার ওসি মো. আমির হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আমরা দ্রুত প্রতিবেদন দিয়েছি। আশা করছি আদালত নির্দোষ নয়নকে দ্রুত জামিন দিয়ে দিবেন।

এসবি/সানি

Check out our other content

Check out other tags:

Most Popular Articles