নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সখীপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় ৩ জন আহত হয়েছে। এরই মধ্যে তাইজুল ইসলাম (২৪) নামের এক যুবকের পেটের ভুঁড়ি বের হওয়ায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের গড়বাড়ী বখতিয়ার পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তাইজুল ওই গ্রামের মৃত খাদেমুল ইসলামের ছেলে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত অন্য দুজন হলেনঃ তাইজুলের ভাবি (মজনু মিয়ার স্ত্রী) নাছিমা (৩৬) এবং নজরুল মিয়ার স্ত্রী মরজিনা (৩৫)।
জানা যায়, ওই গ্রামের মৃত খাদেমুল ইসলামের ছেলে মজনু, নজরুল ও তাইজুলদের সঙ্গে একই গ্রামের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে সাদেকুল ও তার চাচাতো ভাই শহিদুল ইসলামের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল।
বিরোধ পুর্ণ ওই জমিটি মঙ্গলবার দুপুরে শহিদুল ও সাদেকুল, সিয়াম এবং রাজ্জাক মিলে জোর পূর্বক দখলের চেষ্টা করে। এতে বাঁধা দেওয়ায় মজনু মিয়ার স্ত্রী নাছিমা এবং নজরুলের স্ত্রী মরজিনাকে বেধড়ক মারধর করে। ওই সময় আহতদের চিকিৎসার জন্য সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে পৌর শহরের বাগান চালা এলাকায় পৌছালে সেখানে প্রতিপক্ষ দ্বিতীয় দফায় তাদের উপর হামলা চালায়। ওই হামলায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মজনুর ভাই তাইজুল ইসলামের পেটে আঘাত করলে ভুঁড়ি বের হয়ে যায়। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে,পরে অবস্থার অবনতি হলে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে মজনু মিয়া বলেন, আমাদের জমিটি ওরা অবৈধ ভাবে দখলের চেষ্টা করেছিল। এতে বাঁধা দিতে গেলে সাদেকুল ও শহিদুল বহিরাগত লোক নিয়ে দুই দফায় হামলা করে। হামলায় আমার ভাইয়ের পেটের ভুঁড়ি বের হয়ে গেছে। সে এখন হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন। তিনি থানার ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার দিনই থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও পুলিশ এখনও মামলা রের্কড় করেনি এবং কাউকে গ্রেফতারও করা হয়নি। আসামিরা আমাদের নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।
এ ব্যাপারে সাদেকুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সখীপুর থানার ওসি রেজাউল করিম বলেন, জমি নিয়ে বিরোধে আহত হওয়ার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আসামি না ধরার অভিযোগ সত্য নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শিগগিরই মামলা রেকর্ড় করা হবে।