24 C
Dhaka
Monday, November 24, 2025

সখীপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযানে চার প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা

নিজস্ব সংবাদদাতা: সখীপুরে ভোক্তা অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে...

সখীপুরে ৮ মাসে ২৪০ জনকে সর্প দংশন, হাসপাতালে নেই অ্যান্টিভেনম

সাইফুল ইসলাম সানি: টাঙ্গাইলের সখীপুরে ৮ মাসে...

সখীপুরে প্রবাসীর বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপা‌টের ঘটনায় থানায় অ‌ভি‌যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের সখীপুরে ইতালী প্রবাসীর বাড়িঘর...

সখীপুরে প্রেমিকের সামনে প্রেমিকাকে পালাক্রমে ধর্ষণ

জাতীয়সখীপুরে প্রেমিকের সামনে প্রেমিকাকে পালাক্রমে ধর্ষণ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

অভিভাবকদের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রেমিক-প্রেমিকার বাড়ি থেকে তিন কিলোমিটার দূরে একটি খেলার মাঠে বসে গল্প করছিল। মেয়ের পরিচিত পাঁচ বন্ধু মিলে তিনটি মোটরসাইকেল নিয়ে ওদের জোরপূর্বক তুলে নিয়ে উপজেলার বহেড়াতৈল রেঞ্জের আওতাধীন কাকড়াজান বিটের একটি গহিন বনে ঢোকে। নির্জন ওই বনের একটি খালি জায়গায় প্রেমিক-প্রেমিকাকে ওরা বিবস্ত্র করে চর-থাপ্পর মারে। একে অপরকে জড়িয়ে ধরতে বলে। না ধরায় আবারও চর-থাপ্পর মারে। এক পর্যায়ে ওরা ওদেরকে ধর্ষণে লিপ্ত হতে চাপ দেয়।
পরে এক সময় সাদ্দাম হোসেন, মো. জালাল ও আশরাফুল ইসলাম প্রেমিকের সামনেই প্রেমিকাকে ধর্ষণ করে। নজরুল ইসলাম ও আফাজ উদ্দিন ধর্ষণের সুযোগ না পেলেও তাঁরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে এসব ঘটনার ভিডিও ধারণ করে। এক পর্যায়ে ওই প্রেমিক ডাক-চিৎকার শুরু করে। চিৎকারে এক ব্যক্তি টর্চ লাইট নিয়ে এগিয়ে এলে মোটরসাইকেল যোগে ওই পাঁচ বন্ধু পালিয়ে যায়।

এ ঘটনাটি ঘটেছে গত ১১ মার্চ টাঙ্গাইলের সখীপুরের বহেড়াতৈল ইউনিয়নের একটি বনে। বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রাম্য সালিসে বিচার হওয়ার চেষ্টা চলে। এক পর্যায়ে কোনো বিচার না পেয়ে গত শনিবার রাতে মেয়েটি বাবা ( আমিনুল ইসলাম) বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে সখীপুর থানায় ধর্ষণ ও পর্ণগ্রাফী আইনে মামলা করেন। সখীপুর থানার পুলিশ গতকাল রোববার সকালে দুই নম্বর আসামি জালালকে (২৫) গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জালালের কাছ থেকে ধর্ষণের ও প্রেমিক- প্রেমিকাকে বিবস্ত্র করার ভিডিও উদ্ধার করে। বাকি আসামিদের কাছে আরও ভিডিও রয়েছে বলে পুলিশের কাছ থেকে জানা যায়।

গ্রেপ্তার হওয়া জালাল থানার হাজতে থেকে জানায়, মেয়েটি আমাদের পাড়ার। সে মাঝে মধ্যেই ওই ছেলেকে নিয়ে মাঠে বসে গল্প করে। আমাদের সঙ্গে প্রেম না করে অন্য গ্রামের ছেলের সঙ্গে প্রেম করায় হিংসাত্মকভাবে তাঁদের জোর করে তুলে নেওয়া হয়।

মেয়েটির বাবা জানায়, আমার কপাল খারাপ। মেয়েটি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় একবার ধর্ষণের শিকার হয়েছিল। বছর দুয়েক আগের ঘটনা। সখীপুর থানায় মামলাও হয়েছিল। এরপর থেকে থানা ও আদালতে ঘুরতে গিয়ে ও লোক লজ্জার ভয়ে আর স্কুলে পড়া হয়নি মেয়েটির। আবার মামলায় যেতে হলো। আগের মামলায় মেয়ে বাদী ছিল। এবার আমাকেই বাদী হতে হয়েছে। এ ন্যাক্কারজনক ঘটনায় জড়িত পশুদের বিচার দাবি করছি।

সখীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লুৎফুল কবির বলেন, বাকি আসামিদের ধরার চেষ্টা চলছে। মেয়েটিকে রোববার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

Check out our other content

Check out other tags:

Most Popular Articles