সাইফুল ইসলাম সানি: সখীপুরে করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে বনের ভেতর ফেলে যাওয়া নারী মাজেদা বেগম (৫০) করোনায় আক্রান্ত ছিলেন না। আইইডিসিআরের প্রাথমিক পরীক্ষায় ওই নারীর করোনা রিপোর্ট নেভেটিভ এসেছে। তবে তিনি কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। আজ বুধবার বিকেলে ওই নারীর তত্ত্বাবধানে থাকা ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) মেডিসিন বিভাগের সহকারী রেজিস্টার ডা. মুক্তাদির ভূঁইয়া মুঠোফোনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আজ বিকেলে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হলে ডা. মুক্তাদির বলেন, আইইডিসিআরের পরিচালক মুঠোফোনে ওই নারীর করোনা রিপোর্ট নেভেটিভ এসেছে বলে তাকে জানিয়েছেন। তবে বিষয়টি আরো নিশ্চিত হতে দুই তিনদিনের মধ্যে পুনরায় তার নমুনা পরীক্ষা করা হবে। ডা. মুক্তাদির আরো বলেন, ওই নারীর মধ্যে করোনাভাইরাসের গুরুত্বপূর্ণ কোনো লক্ষণ নেই। তবে তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন, কিছুটা মানসিক সমস্যা রয়েছে, তার শারিরিক সমস্যা খুব একটা গুরুতর মনে হচ্ছে না।
এর আগে গত সোমবার গভীর রাতে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের ইছাদিঘী গ্রামের এক জঙ্গলে ওই নারীকে পাওয়া যায়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকেরা সোমবার রাত দেড়টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারীর পরিচয় নেন। তখন ওই নারী জানায়, তাকে তার সন্তানেরা ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে। তার বাড়ি শেরপুর জেলার নালিতা বাড়িতে। তার স্বামী-সন্তান গাজীপুরের সালনায় পোশাক কারখানায় কাজ করেন।
পরে সখীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আসমাউল হুসনা লিজা ওই মহিলাকে রাতেই ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। মঙ্গলবার বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহীনুর আলম বলেন, ওই নারীর শরীরে জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও গলা ব্যথা ছিল। মঙ্গলবার সকালে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশন বিভাগে ভর্তি করা হয়।
-এসবি/সানি