
নিজস্ব প্রতিবেদক: সখীপুরে পারিবারিক কলহ মীমাংসার কথা বলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মারধরে অন্তত চারজন আহত হয়। আহতদের প্রথমে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গুরুতর আহত একজন এখনো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় গত শুক্রবার মারধরের শিকার সাখাওয়াত হোসেন সখীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বেড়বাড়ি যাদবপুর গ্রামের মনির হোসেনের সঙ্গে তার স্ত্রী নাছিমা বেগমের (৩০) পারিবারিক কলহ চলছিল। এ কলহের জেরধরে গত ৫ জানুয়ারি নাছিমা তার স্বামীর বাড়ি থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে ওই যাদবপুর গ্রামেরই তার বোন এবং দুলাভাই আবদুর রাজ্জাকের বাড়িতে চলে যায়। পরে এ ঘটনা পারিবারিকভাবে মীমাংসার জন্যে মনির হোসেন ও তার ভাই সাখাওয়াত হোসেন লিটনকে আবদুর রাজ্জাকের বাড়িতে ডাকা হয়। সাখাওয়াত হোসেন লিটনসহ গত ৬ জানুয়ারি বেশ কয়েকজন লোকজন ওই বাড়িতে গেলে তাদের আটকে রেখে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগকারী সাখাওয়াত হোসেন লিটন জানান, মারধরের সময় আবদুর রজ্জাক ও তার লোকজন আমাদের কয়েকটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করে। মোটরসাইকেলগুলো বর্তমানে থানা হেফাজতে রয়েছে। অন্যদিকে ঘটনার পরপরই আবদুর রাজ্জাক আমাদের বিরুদ্ধেই থানায় উল্টো অভিযোগ করেছে।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।