নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সখীপুর উপজেলার ১০নং বড়চওনা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনটি কেন্দ্রের ভোট পুনঃগণনার দাবিতে বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। বুধবার সকালে বড়চওনা ইউনিয়নবাসীর ব্যানারে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের বহিস্কৃত নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল হালিম সরকার লালের সমর্থকরা এ কর্মসূচি পালন করে। সখীপুর-সাগরদিঘী সড়কের বড়চওনা বাজারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজন অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন নির্বাচনে পরাজিত আনারস প্রতীকের (স্বতন্ত্র) চেয়ারম্যান প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম সরকার লাল। তিনি বলেন, নির্বাচনের দিন ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৬টি ওয়ার্ডের ফলাফল সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে ১নং কুতুবপুর রওশন উচ্চ বিদ্যালয়, ২নং কুতুবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৬নং নামদারপুর মাদ্রাসা কেন্দ্রের ফলাফল আটকে রাখা হয়। ওই তিন কেন্দ্রে ভোট জালিয়াতি করতে ঘণ্টার পর ঘন্টা দেরী করে ফলাফল দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, ওই তিন কেন্দ্রের প্রিজাইটিং ও সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা মিলে আমার আনারস প্রতীকের এজেন্টদের হুমকি দিয়ে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে। ভোট পুনঃগণনা করলেই আসল তথ্য বেরিয়ে আসবে। আমি আরবিটেশন বোর্ডে মামলা করেছি। আইনের প্রতি আমার যথেষ্ট শ্রদ্ধা ও সম্মান রয়েছে। আশা করি বিষয়টি সঠিক তদন্ত হবে। ফলাফল পাল্টে দেওয়ার এই ঘটনার সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা জড়িত বলে অভিযোগ করেন তিনি। বিএডিসি’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী ১নং কুতুবপুর রওশন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার রুবেল মিয়া বলেন, প্রার্থীদের এজেন্টদের সামনে ভোট গণনা করা হয়েছে। ভোট কারচুপি ও অনিয়মের কোন প্রশ্নই উঠে না। কুতুবপুর রওশন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার
উল্লেখ্য, গত ১৭ই জুলাই সখীপুর উপজেলার চারটি ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বড়চওনা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মোটরসাইকেল প্রতীকে ২১৩ভোট বেশি পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল হালিম সরকার লালকে হারিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।