নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের সখীপুরে দাড়িপাকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নূরুল ইসলাম স্যারের আত্মহত্যার প্ররোচনাকারীদের গ্রেফতার ও বিচার দাবীতে মানববন্ধন করেছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক পরিবার।
বুধবার (৬ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে চারটায় সখীপুর প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে উপজেলার ১৪৭ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশকে ৭২ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেন। তা না হলে শিক্ষকরা থানা, ঘেরাওসহ নতুন কর্মসূচি দেওয়ার হুমকি দেন।
এদিকে পুলিশ জানায়, লাশ উদ্ধারের ওই রাতেই নিহত শিক্ষকের মেয়ে নিপা আক্তার (২৫) বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে সখীপুর থানায় চারজনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। আসামিরা হলেন দাড়িপাকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বহিষ্কৃত শিক্ষক মোস্তফা কামাল, সমন্বয়ক পরিচয় দাবি করা খাইরুল, হামিদুল ও সজীব।
ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে গত ২৭ আগস্ট দাড়িপাকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পার্শ্ববর্তী দাড়িপাকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।
পরে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপিও দেয়। জেলা শিক্ষা কার্যালয় ইতিমধ্যে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের একটি তদন্ত শেষ করেছে। ওই তদন্তের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করলে বিষয়টি নিয়ে দ্বিতীয়বার তদন্তের সিদ্ধান্ত হয়। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ছিল দ্বিতীয় তদন্তের প্রথম দিন।
কিন্তু মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে ওই শিক্ষকের ‘ঝুলন্ত’ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। স্বজনদের অভিযোগ, অপমান সইতে না পেরে ওই শিক্ষক আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন।
উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি খুরশিদ জাহানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক টিটু, সাবেক সভাপতি জাহানারা খানম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামীম আল মামুন, জাতীয়করণ শিক্ষক সমিতির সভাপতি আনোয়ার দুলাল, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, আনোয়ার হোসাইন, ইসমাইল হোসেন, শাহনাজ শারমিন প্রমুখ।
এ বিষয়ে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে সাঁড়াশি অভিযান চলছে।