নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সখীপুরে সড়ক সংস্কার ও রাস্তাঘাটে উত্ত্যক্ত বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। সখীপুর- ইন্দ্রজানি সড়কের বাগানচালা, উত্তরা মোড় এবং মুখতার ফোয়ারা চত্বরে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। সখিপুর আবাসিক মহিলা কলেজ, সূর্য তরুণ শিক্ষাঙ্গন আবাসিক স্কুল এন্ড কলেজ এবং সখীপুর পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেয়। সকাল সাড়ে দশটা থেকে সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত চলে এ মানববন্ধন। পরে মোক্তারপাড়া চত্বরের তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা একত্র হয়ে সমাবেশ করে। এ সময় পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র মুখতার ফোয়ারা চত্বরের পাঁচটি রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়।আটকা পড়ে শতশত যান । এতে দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রীদের। সমাবেশে সখীপুর আবাসিক মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রফিকুল রফিক-রাসেল, বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মুহম্মদ আবদুল আলীম বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, মোক্তারপাড়া থেকে সখীপুর আবাসিক মহিলা কলেজ পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার সড়কে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। অল্প বৃষ্টিতেই সড়কটিতে কাদা পানি জমে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। তাছাড়া সড়কটির মহানন্দপুর বাজার পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। মহিলা কলেজের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী শক্তি ও সুমি জানায়, সড়কটিতে খানাখন্দ থাকায় কলেজে আসতে দু্র্ভোগ পোহাতে হয়। কাদাপানিতে কলেজ ড্রেস অনেক সময় নষ্ট হয়ে যায়। পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করে, এমনিতেই রাস্তাটি খানাখন্দে ভরা। বিদ্যালয়ে আসার ও ছুটি হওয়ার পর মোড়ে মোড়ে শিক্ষার্থীদের উত্ত্যক্ত করে বখাটেরা। তারা প্রশাসনের কাছে বখাটেদের উত্ত্যক্ত বন্ধ ও সড়কটি সংস্কারের দাবি জানান। মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রফিক-ই- রাসেল বলেন, মূখতার ফোয়ারা থেকে সখীপুর আবাসিক মহিলা কলেজ পর্যন্ত দেয় কিলোমিটার সড়কে ছোট-বড় আটটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। হাজার হাজার শিক্ষার্থী এ সড়কে চলাচল করে। শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে হলেও দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করার দাবি জানান তিনি।সখীপুর উপজেলা প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার দাস বলেন, সড়কটি সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যেই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আগামী অর্থবছরে এর সংস্কার কাজ হবে। তবে সড়কটি চলাচলের উপযোগী করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।