নিজস্ব প্রতিবেদক: সখীপুর উপজেলা পরিষদ মাঠ সংলগ্ন পাঁচটি সরকারি কার্যালয়ের সামনে দীর্ঘ জলাবদ্ধতা থাকায় কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সেবাগ্রহীতাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কার্যালয়গুলো হচ্ছে- উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়, পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন, যুব উন্নয়ন, পাট উন্নয়ন, ও সহকারী সেটেলমেন্ট কর্মকর্তার কার্যালয়।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার গজারিয়া ও দাড়িয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে সকাল থেকেই নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে চেয়ারম্যান-মেম্বার প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকদের থাকে অবাধ যাতায়াত। জল-কাঁদা মাড়িয়েই তাদের ওই কার্যালয়ে যেতে হচ্ছে। এতে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে শতশত লোকজনের। আগামী ১৫ জুন নির্বাচনে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও অন্য চারটি কার্যালয়ের সেবাগ্রহীতাদের একই অবস্থায় পড়তে হচ্ছে।
উপজেলা পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন কর্মকর্তা আমির আলী বলেন, পাঁচটি কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারী মিলে রয়েছে প্রায় অর্ধশত জনবল। ছুটির দিন ছাড়া প্রত্যেক দিনই আমাদের জল-কাঁদা মাড়িয়েই অফিসে আসতে হচ্ছে।
উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. শাহ আলম বলেন, সেবাগ্রহীতারাও চরম দুর্ভোগ শিকার করে আমাদের কাছে আসে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতাউল হক বলেন, বর্ষা শুরু হলেই এই পাঁচটি কার্যালয়ের সামনে দীর্ঘ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। উপজেলার দুটি ইউনিয়নে আগামী ১৫ জুন ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র জমার দিনে প্রার্থী ও তাদের কর্মীসমর্থকদের কার্যালয়ে আসা চরম দুর্ভোগে পোহাতে হয়েছে। এছাড়াও নির্বাচনকে ঘিরে অন্যান্য যাবতীয় কর্মকান্ডে কার্যালয়ে আসা-যাওয়া চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। পানি নিষ্কাশনের বা ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় কার্যালয়গুলোতে আসতে আমাদের ও সেবাগ্রহীতাদের ভোগান্তির সীমা থাকেনা। বিষয়টি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে একাধিকভার অবগত করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা আলম সরকারীভাবে প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশ থাকায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। ওই পাঁচটি সরকারী কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও সেবাগ্রহীতারা অতি দ্রুত জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।