ইসমাইল হোসেন: সখীপুরে অষ্টম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রকে যৌন হয়রানির (বলাৎকার) ঘটনায় অভিযুক্ত ভণ্ডপীর আবদুল খালেকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে উপজেলার সখীপুর-ইন্দারজানি- শহর গোপিনপুর সড়কের মহানন্দপুর বাজারে এ কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচিতে মহানন্দপুর বিজয় স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড সংসদ, বাজার বণিক সমিতি, আদিবাসী ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন, ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীরা অংশ নেয়। মানববন্ধন শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে মহানন্দপুর বিজয় স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুল হাসান, সহকারী শিক্ষক আবুল কলাম আজাদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমীন, সমাজসেবক খায়রুল ইসলাম, আদিবাসী নেতা রবীন কুমার বর্মণ, বণিক সমিতির সভাপতি ওসমান গণি, আবদুল কদ্দুছ মাস্টার, কাকড়াজান ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, বণিক নেতা কামরুজ্জামান ও ওই বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী সালেহীন শান্তা প্রমুখ বক্তব্য দেন। বক্তারা দ্রুত ওই ভ-পীরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। বক্তারা বলেন, ভ-পীর আবদুল খালেক প্রায় দুইযুগ ধরে এলাকার সহজ সরল মানুষকে যাদু-টোনা দেখিয়ে তাবিজ-কবজ দেন। সুদের ব্যবসা করেন, নানা প্রতারণা করে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন। ওই সমাবেশে ভ-পীরকে আইনের আওতায় আনার সাতদিনের আল্টিমেটামও দেন বক্তারা।
প্রসঙ্গত, পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রকে যৌন হয়রানি (বলাৎকার) করে ভ-পীর আবদুল খালেক (৫৫)। এ ঘটনায় গত বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সখীপুর থানায় ওই ছাত্রের মা বাদী হয়ে মামলা করলেও সখীপুর থানা পুলিশ এখন অভিযুক্ত ভন্ড পীর খালেককে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি। আবদুল খালেকের বাড়ি উপজেলার বহেড়াতৈল গ্রামে। সে তার স্ত্রী ও ছেলের বউকে নিয়ে সখীপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে পাঁচতলা বাড়ি করে বসবাস করছেন। এদিকে মামলার খবর পেয়ে পুলিশের গ্রেপ্তার এড়াতে ওই পীর গা ঢাকা দিয়েছে। আবদুল খালেকের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক ভুঁইয়া বলেন, এ বিষয়ে থানায় মামলা নেয়া হয়েছে। আবদুল খালেককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।