সাইফুল ইসলাম সানি: টাঙ্গাইলের সখীপুরে ঘুর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে গতকাল রোববার রাত ১০টার পর থেকেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। আজ সোমবার সারা দিনেও বিদ্যুতের দেখা মেলেনি। ফলে বিকেল থেকেই ঘরে আলো জ্বালাতে মোমবাতির জন্যে দোকানে দোকানে ছুটছেন স্থানীয়রা। বিদ্যুতের অভাবে উপজেলাব্যাপী মোবাইল যোগাযোগও বিঘ্নিত হচ্ছে। স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে- ঝড়ো বাতাসের কারণে প্রধান সঞ্চালন লাইনগুলোই চালু করা যাচ্ছে না। দুই-একবার চালু করলেও তীব্র বাতাসে গাছের ঝাপটায় সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগ ও গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে রোববার সন্ধ্যার পর থেকেই সখীপুরে ঝড়ো বাতাস শুরু হয়। রাত ১০টা পর্যন্ত কয়েকবার বিদ্যুতের আসা-যাওয়া চলে। এরপর থেকে আজ সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আর বিদ্যুতের দেখা মেলেনি। বিদ্যুতের এই অবস্থা সখীপুর পৌরসভাসহ উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী উপজেলাব্যাপী। ফলে সোমবার দুপুর পর্যন্ত অধিকাংশ মোবাইলের চার্জ শেষ হয়ে গ্রাহকদের যোগাযোগ বিঘ্নিত হচ্ছে ব্যাপকভাবে। অন্যদিকে বিকেল থেকেই স্থানীয় বাসিন্দারা ঘরে আলো জ্বালাতে দোকানে দোকানে ছুটছেন মোমবাতি কিনতে। এ ছাড়া ঝড়ে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হলেও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু গাছপালা উপড়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার প্রতিমা বংকী বাজারের ব্যবসায়ী রনি আহমেদ জানান, বিকেল থেকে প্রায় শতাধিক গ্রাহক মোমবাতির জন্যে এসেছেন। কিন্তু পর্যাপ্ত মোমবাতি না থাকায় তাঁদের ফিরিয়ে দিতে হয়েছে।
সখীপুর পৌর এলাকার বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম বাবুল বলেন, জেনারেটরের মাধ্যমে কিছু সময় চার্জ দিয়ে মোবাইল ফোনটি কোন রকমের সচল রেখেছি। তবে অধিকাংশের মোবাইল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করাও সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া ঘরে আলো জ্বালাতে বেশ কয়েকটি দোকান ঘুরে মোমবাতিও পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ সখীপুর অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বকর তালুকদার বলেন, চলমান ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে টাঙ্গাইল-সখীপুর ৩৩কেভি সোর্স লাইন এবং ভালুকা-সখীপুর ৩৩ কেভি সোর্স লাইন বন্ধ রয়েছে। প্রবল বাতাসের কারণে সোর্স লাইনগুলো চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। বাতাস কমার সঙ্গে সঙ্গে লাইন চালু করা হবে। প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে সকলকে ধৈর্য্য ধারণ করার জন্য অনুরোধ করছি। আমাদের কারিগরি কর্মচারী ও প্রকৌশলীগণ বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল করতে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ও মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে।